প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 3rd January 2025 15:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৪ বছরের ওই কিশোরী। কিন্তু পরিবারের লোকজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর যখন জানতে পারলেন ততক্ষণে গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কিশোরীর গর্ভপাত করানো অনিবার্য ছিল। সেই মতো বেসরকারি নার্সিংহোমে গর্ভপাত করিয়ে বাড়িতে আনার পরই মৃত্যু হল কিশোরীর।
ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের। মৃত কিশোরীর পরিবারের তরফে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত যুবক সুজন সর্দারকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে ধৃতের বাড়ি মঙ্গলকোটের খুর্তুবা গ্রামে। আউশগ্রামে ঘরজামাই হয়ে থাকত সে। মৃত কিশোরীর জেঠুর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সুজনের।
মৃত কিশোরীর সম্পর্কে দাদা বলেন, 'আমরা প্রথমদিকে ঘটনার কথা জনতাম না। বুধবার বোনের পেটে যন্ত্রণা হলে আউশগ্রামের জামতাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা তখনই বুঝতে পারেন বোন প্রায় চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক জবাব দেওয়ার পর বর্ধমানে নিয়ে গিয়ে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। তখনই বোন বলেছিল, 'জামাইবাবু জোরজবরদস্তি করে আমার এই অবস্থা করেছে।'
জানা গিয়েছে বুধবার নার্সিংহোম থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাতে অল্প খাওয়া দাওয়া করার পর জ্ঞান হারায় ওই কিশোরী। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় আউশগ্রাম থানায়। দেহ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ওই দিন রাতেই অভিযুক্তকে সুজন সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।