শেষ আপডেট: 7th August 2024 15:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: নিঃশব্দে চলে গেলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত গবেষক মানস বসু। বর্ধমান শহরের নীলপুরে একটি আবাসনে একাই থাকতেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে ওই আবাসনের আবাসিকরা এই বিশিষ্ট সঙ্গীত গবেষকের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান। ডেকে সাড়া না মেলায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার পর দরজা ভেঙে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অনুমান করা হচ্ছে, দু'তিনদিন আগেই মারা গেছেন তিনি। এখানকার এক আবাসিক সুমিত দত্ত জানান, গত শুক্রবার তাঁকে শেষবার বাইরে দেখা গেছে। শনিবার দু একজনের সঙ্গে চ্যাটে কথা হয়েছে। তারপর বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার হল।
অকৃতদার ছিলেন মানসবাবু। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গীতচর্চা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মৌলিক গবেষণা রয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে বর্ধমানের শিল্পী, সাহিত্যানুরাগী এবং গুণমুগ্ধরা অনেকেই এই আবাসনে চলে আসেন। শহরের সঙ্গীতপ্রেমী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তার গুণমুগ্ধরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ সরাসরি নির্মল ঝিল শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই সকলে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। বর্ধমানের সংস্কৃতিপ্রেমী মহলে বরাবরের জনপ্রিয় এই প্রচারবিমুখ মানুষটি। একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, শিক্ষক, রবীন্দ্রানুরাগী মানুষটি বিভিন্ন বিষয়ে চর্চা করে গেছেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গীতচর্চা নিয়ে তাঁর মূল্যবান গবেষণাগ্রন্থ আছে। তার দ্বিতীয় খণ্ড সম্পূর্ণ। খুব সম্প্রতি তা প্রকাশ করার কথা। লেখকের জীবদ্দশায় সেই বইটি আর আলোর মুখ দেখল না। তার আগেই নীরবে চলে গেলেন মানস বসু।