শেষ আপডেট: 24th March 2025 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বেশ কয়েকজন বড় তৃণমূল নেতাকে (Bardhaman TMC) হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ বিচারকের। এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোমবার বিকেলে। এদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, যুব নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা(trinamool-leaders)।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, দু-দলের সদস্যরাই তৃণমূলের সদস্য। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য (panchayat-member) জীবন পাল। পরের দিন তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শাসকদলের ক্ষমতাসীন নেতারা জীবন পালকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে পুলিশকে জানান সন্ধ্যারানি।
এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফার্স্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকি দুজন বেকসুর খালাস হন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য নেতা-কর্মীরা। এই রায়ে তৃণমূল শিবিরে আলোড়ন পড়ে যায়। বিধায়ক সহ দলের নেতা,কর্মীরা আদালতে ছুটে আসেন।
সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখার্জি বলেন, "বিচারক এঁদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার রায় ও সাজা ঘোষণা করার কথা তাঁর। তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।"
অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস ও কমল দত্ত বলেন, "এই মামলায় তেমন কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে এই রায় হল তা আশ্চর্যের। এই রায়ে আমরা অবাক। আগামীকাল বিচারক সাজা ঘোষণার পর আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।"
এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "আদালতের বিষয় না জেনে কিছু বলা সম্ভব নয়।" বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "দলীয় কোন্দল কোন জায়গায় গেছে এটা তার প্রমাণ।"