শেষ আপডেট: 1st February 2025 14:00
চন্দন ঘোষ,পূর্ব বর্ধমান
কখনও বাগেশ্বরী, কখনও মহাশ্বেতা, কখনও বৌদ্ধি বা ব্রহ্মাণীরূপে এখানে পূজিতা হন দেবী সরস্বতী। ১১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটাই রীতি পূর্ব বর্ধমানের খাঁড়গ্রামে চৌধুরী বাড়ির পুজোয়। এবার দেবী পূজিতা হবেন বাগ্মীতা রূপে। প্রথা মেনে
বিসর্জনে প্রসাদ দেওয়া হবে চানাচুর, বিস্কুট, লজেন্স।
খাঁড়গ্রামে কয়েকশো বছর ধরে বসবাস চৌধুরী পরিবারের। আনুমানিক ১১৩ বছর ধরে চলে আসছে সরস্বতী পুজো। এখন পুজোর দায়িত্ব পরিবারের সদস্য প্রীতম রায়ের উপর। তিনি জানান, ১১৩ বছরটা পুরোপুরিই আনুমানিক। পুজোর বয়স আরও বেশিও হতে পারে।
বাড়ির চত্বরে মন্দির। প্রথম পুজো করেছিলেন স্বর্গীয় রামপদ চৌধুরী। তাঁর পুত্র রামশঙ্কর চৌধুরী, দৌহিত্য প্রবীর রায়ের পরে ২০০৯ সাল থেকে পুজোর দায়িত্ব বর্তায় প্রীতম রায়ের উপর। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালসিট স্টেশন পেরিয়ে ৩ কিলোমিটার এগিয়ে পালসিট-নবস্থা গ্রামের রাস্তা দিয়ে করন্দা মোড়ে যেতে হয়। সেখান থেকে ডানদিকে খাঁড়গ্রামের রাম নিবাস। এই গ্রামে ছড়িয়ে রয়েছে আরও অনেক মন্দির ও পুজোর আটচালা।
প্রীতম জানান, অনেক আগে এই পরিবারের সরস্বতী পুজোয় গোটা গ্রাম ভোগ খেত। এখন তা বন্ধ আছে। তবে নিয়ম একই রেখে এখনও পুজো হয় ৪ দিন ধরে। প্রতি বছর দেবী সরস্বতীর বিভিন্ন রূপকে এখানে আরাধনা করা হয়। বাগদেবী, সরস্বতী, সারদা, বৌদ্ধি, ব্রহ্মাণী, বাগেশ্বরী,মহাশ্বেতা, যে রূপগুলি সাধারণের কাছে ততটা পরিচিত নয়, সেই রূপের আরাধনা হয়। প্রীতম রায় বলেন, "সরস্বতী দেবীর বিভিন্ন রূপ অনেকের কাছেই অজানা,তা তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য। এবারে এখানে দেবীর বাগ্মীতা মূর্তি।"
কলকাতা, চন্দননগর, মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার সেরা ঐতিহ্যের পুজো হিসেবে এই পুজোকে সম্মানিত করেছে। পুজোর শেষ দিনে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে মূতি বিসর্জন দেওয়ার রীতি। বিসর্জনের পর উপস্থিত সকলকে চানাচুর, বিস্কুট, চকলেট দেওয়ার প্রথা চলে আসছে আজও। সেটাও একটা আকর্ষণ।