মৃতের পরিবারের সঙ্গে ধর্নায় কুলটির বিজেপি বিধায়কৃ-নিজস্ব চিত্র
শেষ আপডেট: 9th September 2024 14:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল সিআইএসএফের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবকের আরও দুই সঙ্গীকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় কুলটি থানার এলাকায়।
কুলটি থানার এলসি মোড়ের কাছেই রয়েছে কুলটির সেল গ্রোথ ওয়ার্কস (ইস্কো) কারখানার ১২ নম্বর গেট। সেই গেটের সামনে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষ কুলটি থানায় খবর দেন। খবর পেয়েই সেখানে আসে পুলিশ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত যুবকের নাম ভিকি রবিদাস (৩০)। তার বাড়ি কুলটি থানার বাবুপাড়া এলাকায়। আহত যুবকের নাম লডন (৩০)। তারও বাড়ি একই এলাকায়। তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল কারণ। মৃত্যুর আগে ভিকি নামে ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি কুলটির ওই কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর তিন সঙ্গী কারখানার ভিতরে গিয়েছিলেন। তখন সিআইএসএফ তাঁদের ধরে ফেলে। ওই দুই সঙ্গী পালিয়ে যেতে পারলেও ভিকি ও তাঁর এক সঙ্গী লডনকে ধরে ফেলে সিআইএসএফ। দুজনকেই বেদম মারধর করে। আশঙ্কজনক অবস্থায় গেটের বাইরে ফেলে দেয়। সেই সময় থেকে তাঁরা আহত অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছে। তাঁরা জল চাইলেও তাঁদের জল দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত বয়ানই স্থানীয়রা ভিডিও রেকর্ড করেছে।
বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবকদের চোর সন্দেহে মারধর করেছে সিআইএসএফ। তবে চোর তাড়াতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর এমন নির্যাতনকে 'অমানবিক' বলে ব্যাখা করেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, যুবকরা যদি কিছু করেই থাকত তাহলে পুলিশ ডেকে কেন তাদের হাতে তুলে দিল না কেন্দ্রীয়বাহিনী। উল্টে নির্মমভাবে মারধর করে একজনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল। এই ঘটনার বিচার হওয়ার প্রয়োজন। এর জবাব সিআইএসএফ ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। একইসঙ্গে দুই যুবকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তাঁরা।
এদিন স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করলেন ঘটনাস্থলে আসেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডা অজয় পোদ্দার। তিনি বলেন, এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে তা ঠিক হয়নি। সিআইএসএফের উচিত ছিল পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া। আমি খবর পেয়ে এসেছি। আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সিআইএসএফের সঙ্গে কথা বলব। এই ঘটনা নিয়ে, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সিআইএসএফের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।