শেষ আপডেট: 2nd October 2023 19:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি স্কুলে পৌঁছনোর রাস্তা। তাই নরক যন্ত্রণা সয়েই রোজ পৌঁছতে হয় স্কুলে। এটাই রোজনামচা হাটকালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিউ মধুবন এলাকায় নিউ মধুবন প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের।
রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে জুতো পরে স্কুলে যাওয়া হয় না পড়ুয়াদের। যাত্রাপথে কোথাও হাঁটু পর্যন্ত কাদা, কোথাও পথ ডুবে আছে জলে। প্রতিপদে সাপ ও অন্য বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়। কারণ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে রাস্তা। ছোটরা জানায়, পিছল রাস্তায় বহুবার পড়ে গেছে তারা। জল-কাদায় রোজ ভিজে যায় জামা। সাপ বেরোয়। তাই ভয় করে। এভাবেই পৌঁছতে হয় স্কুলে।
অভিভাবকরাও জানান, চারদিকে জঙ্গল। জল-কাদায় থইথই রাস্তা। সাপের ভয়। সন্তানদের এমন পথে স্কুলে পাঠাতে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু লেখাপড়া শেখাতে হবে। এছাড়া আর উপায়ই বা কী! বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলেই তাঁদের অভিযোগ। বাসিন্দারা বলেন, “একটা স্কুল তৈরি হল। অথচ সেখানে পৌঁছনোর কোনও রাস্তা হল না। বাচ্চারা স্কুলে যায়। যতক্ষণ না বাড়ি ফেরে ততক্ষণ চিন্তায় থাকি আমরা।”
দ্য ওয়াল এখন হোয়াটসঅ্যাপেও। ফলো করতে ক্লিক করুন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল দে জানান, ২০০৫ সালে এই স্কুলটি তৈরি হয়। তখন থেকেই কোনও রাস্তা নেই। তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তিনি বলেন, “যত দিন যাচ্ছে ততই কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এখন ৪০-৪৫ জন আসে। কীভাবেই বা আসবে ওরা। অনেকটা রাস্তা জলে ডুবে আছে। কাদায় মাখামাখি পথ। এমন রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসাটাই চ্যালেঞ্জ। আমরা চাকরি করি, তাই আসতে হয়। তাও অনেকেই মাঝেমাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
তাঁর অভিযোগ, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মেলেনি। তাই এখন আর আশা করেন না। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন। তাতে অবশ্য নিশ্চিন্ত হতে পারেননি এলাকার বাসিন্দারা।