শেষ আপডেট: 20th July 2024 18:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের জন্য সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খানের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি আজাদ তাঁকে ওই সার্টিফিকেট দেন বলে জানিয়েছেন খণ্ডঘোষের মুইধারা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে সৌমিত্র খানের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। দু'বছর আগে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে সার্জারি করে তাঁর একটি কিডনি বাদ দেওয়া হয়। তারপর থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ইতিমধ্যে জমি বিক্রি করে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কেমোর জন্য এখনও প্রয়োজন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আর্থিক কারণেই চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে আবেদনের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খানের কাছে গিয়েছিলেন। সাংসদ না থাকায় তাঁর পিএকে গোটা বিষয়টি জানান তিনি। এরপরেই সাংসদের পিএ বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে সৌমিত্র খানের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাংসদ এই সার্টিফিকেট দিতে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, "আর কোনও কারণ নেই, শুধুমাত্র তৃণমূল করি বলেই আমাকে সার্টিফিকেট দেননি সৌমিত্র খান।"
এরপরই শনিবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই ওই সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা হয়। সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, "ভোট মিটে গেছে। এখন আমি সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছে, কে তাঁকে ভোট দেয়নি সেই হিসেব করে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের সার্টিফিকেট দেবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়।"
জানা গেছে, শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা যাচ্ছিলেন কীর্তি আজাদ। রাস্তায় খবর পেয়েই বর্ধমানের পার্টি অফিসে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট দেন। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর বক্তব্য পাওয়া গেলে আপডেট করা হবে।