শেষ আপডেট: 12th February 2025 20:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: নবান্নের নির্দেশের পরোয়া না করে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিডিওরা। এমনই অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। লাল-নীল বাতির গাড়ির অপব্যবহার নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মতোই ক্ষোভ জানিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরেই বেআইনিভাবে গাড়িতে লাল-নীল বাতির ব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
লাল-নীল বাতির গাড়ি কারা কারা ব্যবহার করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেয় নবান্ন। সেই মতো রাজ্য পরিবহণ দফতর নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় রাজ্যের কোনও বিডিওকে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপে ঘোরার অধিকার দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও নিজেকে ’ভিআইপি’ হিসাবে জাহির করতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ একাধিক ব্লকের বিডিও দিব্যি নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ।
নবান্নের নির্দিষ্ট করে দেওয়া তালিকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা তো রয়েইছেন।এছাড়াও রয়েছেন,মুখ্য সচিব,অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব, ডিভিশনাল কমিশনার,রাজ্য পুলিশ ও দমকল বিভাগের ডি.জি,আয়কর ও শুল্ক দফতরের কমিশনার,পুলিশের আই.জি এবং ডি.আই.জিরা। রাজ্যস্তরের এই সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রতিটি জেলার জেলাশাসক,পুলিশ সুপার এবং মিউনিসিপাল কমিশনাররা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাঁরা নিজস্ব এলাকায় নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপে ঘুরতে পারবেন। তালিকায় সর্বশেষ যাঁরা জায়গা পেয়েছেন তাঁরা হলেন,প্রশাসনের সাব ডিভিশনাল অফিসার(SDO) ও পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার (SDPO)।“
অভিযোগ নবান্নেত স্পষ্ট নিরেদেশ সত্ত্বেও জামালপুর ব্লকের বিডিও সহ জেলার বেশ কয়েকজন বিডিও নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরাফেরা করেন। জেলার ভাতার,খণ্ডঘোষ,আউশগ্রাম ১ ও ২ ব্লক,রায়না ১ ও ২ ব্লক গলসি ২ ব্লক সহ আরও কয়েকটি ব্লকের বিডিওর গাড়িতে নীল বাতি লাগানো রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত বিডিওরা নিজ নিজ এলাকায় ঘোরার সময় নীল বাতি লাগানো গাড়িতেই চলাফেরা করেন।
মেমারি ১ ব্লকের বিডিও শতরূপা দাস বলেন,“কে কী করছে তা আমি বলতে পারব না। তবে বিডিও পদে থেকে আমি নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর অধিকারী নই। তাই আমি আমার গাড়িতে নীল বাতি লাগাইনি।" আর মেমারির পাশের জামালপুর ব্লকের বিডিও পার্থসারথী দে বলেন,“অনেক বিডিও’ই গাড়িতে নীল বাতি ব্যবহার করছেন,তাই আমিও করছি“। গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘোরার বিশেষ অনুমতি প্রশাসন থেকে তিনি কি পেয়েছেন? এর উত্তরে পার্থসারথী দে বলেন,“না না সেই রকম কিছু নেই।"
জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, "সরকারী নির্দেশিকা সবাইকেই মানতে হবে। নির্দিষ্ট পদাধিকারী না হলে কেউ নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এমনটা কোন কোন বিডিও করছেন তার তদন্ত আমরা করব।" জেলাশাসক এই কথা জানালেও জেলার পরিবহন আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী এই বাপারে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দেন।