প্রধানশিক্ষককে ঘিরে 'চোর' স্লোগান দিচ্ছে ছাত্ররা
শেষ আপডেট: 31st July 2024 19:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: আউরিয়া চারুচন্দ্র দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষককে ঘিরে চোর স্লোগান দিচ্ছে ছাত্ররা।তাদের সঙ্গেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আউরিয়া গ্রামে। এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সপ্তম শ্রেণির একদল পড়ুয়া প্রধান শিক্ষককে ঘিরে 'চোর, চোর' বলে চিৎকার করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা। নিজের ঘরে চেয়ারে বসতে গেলে প্রধান শিক্ষকের দিকে তেড়ে যান অন্য শিক্ষকরা। এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি দ্য ওয়াল। কাটোয়ার আউরিয়া চারুচন্দ্র দত্ত বিদ্যানিকেতনের (উচ্চ মাধ্যমিক) এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে শনিবার। তারপরেই সোমবার মিডডে মিল নিয়ে প্রধানশিক্ষক তাপসকুমার ঘোষ দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ তুলে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও ও জেলার স্কুল শিক্ষা পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের ১৬ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী।
শনিবারের ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই সরকারি এই স্কুলে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলে দাবি করেছেন অভিভাবকরা। গ্রামবাসী এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের দাবি, স্কুলের শিক্ষকরা দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছেন। সেখানে প্রধান শিক্ষক একা এবং বাকি ১৬ জন শিক্ষক একজোট। এই দলাদলির জন্যই স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নানা বিষয়ে বিবাদ চলছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার ঘোষ এদিন জানান, শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে জোর দিয়েছিলেন। তার জন্যই সহকর্মীদের আক্রোশের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। স্কুলের বাকি ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের মিডডে মিলের জন্য যে টাকা স্কুলে আসে সেই টাকার সঠিক ব্যবহার করেন না প্রধানশিক্ষক । সপ্তাহে একদিনও ডিম খেতে পারে না পড়ুয়ারা। স্কুলে ছাত্রীদের শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানশিক্ষক অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষক বলেন, "মিড ডে মিল সংক্রান্ত সমস্ত নথি আমার কাছে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই দেখিয়েছি।"
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকদের নিজেদের মধ্যে অশান্তির প্রভাব পড়ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্কুলের পঠনপাঠন। পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। কতদিনে এই সমস্যা মেটে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে অভিভাবকরা।