শেষ আপডেট: 12th March 2025 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক বধূকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত(Bardhaman Conviction)। সাজাপ্রাপ্তকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের(bardhaman fast track court) বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই সাজা ঘোষণা করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তের নাম পরীক্ষিত রায়। বর্ধমান থানার তেজগঞ্জের বালামাঠ এলাকায় তার বাড়ি। সরকারি আইনজীবী সুদর্শনা ঘোষ বলেন, "সাজাপ্রাপ্তের স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁকে দেখার কেউ নেই। সে কথা জানিয়ে সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য বিচারকের কাছে আর্জি জানায় পরীক্ষিত। তবে আমি যাবজ্জীবন সাজার পক্ষে সওয়াল করি। বিচারক নির্যাতিতাকে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।"
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তেজগঞ্জ এলাকাতে ওই বধূর বাড়ি। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কালীপুজোর দিন গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন পরীক্ষিত ওই বধূর বাড়িতে যায়। বধূর স্বামীকে জুয়া খেলার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে যায়। কিন্তু ওই বধূর স্বামী জুয়া খেলতে যেতে রাজি হননি। এরপরই পরীক্ষিত বধূকে টানতে টানতে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই সময় তার বাড়িতে কেউ ছিল না। গৃহবধূর স্বামীও সেখানে পৌঁছে যান। একটি ঘরে বধূর স্বামীকে বসতে বলে পরীক্ষিত। তিনি ঘরে বসা মাত্র বাইরে থেকে দরজার শিকল লাগিয়ে দেয় সে। এরপর মুখ চেপে ধরে ওই বধূকে ধর্ষণ করে সে পালিয়ে যায়। দরজা খুলে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন বধূ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৫ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ধর্ষণের মামলা রুজু করে ৬ নভেম্বর রাতে পরীক্ষিতকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তদন্ত সম্পূর্ণ করে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই বছরেরই ২৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জ গঠন হয়। মামলায় ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়।