শেষ আপডেট: 1st October 2024 14:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সাহায্য করার নামে তরুণীকে আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ওই তরুণীর মা মেমারি থানার অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম প্রদীপ জোর। বাড়ির কালনা থানার অনুখাল এলাকায়। মেমারির দেবীপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে সোমবার প্রদীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণী শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর বাড়ি কলকাতার একবালপুরে। মানসিক সমস্যা রয়েছে ওই তরুণীর। পরিবার জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে তরুণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মেমারির এক যুবকের সঙ্গে। তরুণীর সঙ্গে ওই যুবকের ফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু কোনও কারণে পাত্রপক্ষ এই বিয়েতে রাজি হয়নি। কিন্তু তবুও ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতেন তরুণী।
গত শনিবার কলকাতার বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ওই তরুণী। খোঁজাখুঁজির পরে একবালপুর থানায় আত্মীয়রা নিখোঁজের অভিযোগ জানান। তরুণীর পরিবারের দাবি, মেয়ে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে ট্রেন ধরে বর্ধমানে চলে আসে। যে যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান ওই তরুণী। কিন্তু কোনওভাবেই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাড়ি না ফিরে মনমরা হয়ে বর্ধমান স্টেশনেই বসেছিলেন ওই তরুণী। ওইদিনই প্রদীপের সঙ্গে তরুণীর আলাপ হয়। প্রদীপের কাছেও ফোন চেয়ে ওই যুবককে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণীর গলা শুনে ফোন কেটে দেন ও যুবক। তরুণীকে কান্নাকাটি করতে দেখে সহানুভূতি দেখায় প্রদীপ। সে ওই তরুণীকে দেবীপুরে এক আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে যায়। দুপুরের দিকে প্রদীপের ফোনে থেকে ফের ওই যুবককে ফোন করেন তরুণী। সেখানে তিনি বলে একজনের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ওই তরুণীর কথাবার্তায় আঁচ পেয়ে ওই যুবক মেমারি থানায় বিষয়টি জানান। মেমারি থানার পুলিশ একাধিক সূত্রে একবালপুর থানায় সঙ্গে যোগাযোগ করে। খবর পেয়ে তরুণীর পরিবারের লোকজন মেমারি থানায় আসেন। তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।
ম্যাজিস্টেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে দিয়েছে তরুণী। পরিবারের লোকজন অভিযোগ, মেয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে প্রথমে কিছুটা ভালো ব্যবহার করে। ওইদিন দুপুরে তরুণীর উপর পর পর দুবার পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। পুলিশ তরুণীকে প্রদীপের বাড়ি থেকে উদ্ধারের পরে থানা আনে। সেখানে তরুণীর তাঁর মাকে বিষয়টি জানায়। এরপরেই পুলিশ প্রদীপকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় কালনার একটি বেসরকারি কারখানার কর্মী।