শেষ আপডেট: 17th September 2024 17:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: চলন্ত বাসের মধ্যে এক নাবালিকাকে কুপিয়ে খুন করে বেপাত্তা হল অভিযুক্ত। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের কোমরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে। এমন ঘটনায় শিউরে উঠেছেন বাসে থাকা অন্য লোকজন। তাঁরা জানান, ওই নাবালিকাকে কুপিয়ে মেরে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নীচে নেমে পালিয়ে যায় ওই যুবক।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রীর বাড়ি কাটোয়ার হরিপুর গ্রামে। ক্লাস এইটের ছাত্রী ছিল সে। অভিযুক্ত বাবু শেখও হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে ওই যুবক। কয়েক দিন আগে বাড়ি ফেরে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে ওই যুবকটি নাবালিকাকে সবসময় উত্যক্ত করত।
সম্প্রতি আড়না গ্রামে মাসির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখান থেকেই মঙ্গলবার মাসিকে নিয়ে কাঁদরা ব্লক অফিসে একটি কাজ সারতে যায়। ফেরার সময় বাসে জানলার ধারে বসেছিল সে। পাশে বসেছিল তার মাসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকাই ওই যুবক বাসে উঠে একটি ক্ষুর নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরের পর কোপ দিতে থাকে ওই নাবালিকার গলায়। সিটের উপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। ওই নাবালিকার মাসি জানায়, "বাস রেলগেট পার হতেই ও দৌড়ে বাসে উঠে আমার বোনঝির গলায় বারবার ছুরি চালাতে থাকে। ভয়ে বাসে সবাই চিৎকার করতে থাকে। তারমধ্যেই ও লাফ দিয়ে পালাল।”
খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ-সহ বাসটি কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দু-বছর আগেও আরও এক হাড়হিম করা ঘটনায় সাক্ষী হয়েছিল কেতুগ্রাম। ২০২২ সালের ৪ জুন। শ্বশুরবাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন রেণু খাতুন। প্রবল যন্ত্রণায় আচমকা ঘুম ভাঙে। কিন্তু চিৎকার করতে গিয়েও পারেননি। কারণ মুখের উপর বালিশ চাপা। ডান হাতে হাতুড়ি পিটছেন স্বামী। তীব্র যন্ত্রণা। তারপরে টিন কাটার কাঁচি দিয়ে কব্জি থেকে রেণুর হাত কেটে নেওয়া হয়। প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল. সেখান থেকে বর্ধমান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রেনুকে। তারপরে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করান বাপের বাড়ির লোকজন। রেণুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’দিন পর গ্রেফতার হন তাঁর স্বামী ও অন্য অভিযুক্তরা। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে চাকরি পান রেণু।