অপহরণের গল্প ফেঁদে বাবার কাছে টাকা হাতানোর চেষ্টা!
শেষ আপডেট: 25th September 2024 14:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: মেয়ে নার্সিং পড়ুয়া। বুধবার সন্ধেবেলা ওই পড়ুয়ার বাবার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন আসানসোলের এক বাসিন্দা। ছুটে গেছিলেন পুলিশের কাছে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্ত নামে। কিন্তু তদন্ত শেষে, যা উঠে এল তাতে কল্পনাও করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। অবশেষে মেয়ের সম্পর্কে ভ্রম ভাঙল তাঁরা। জানা গেছে, অপহরণের গল্প ফেঁদে প্রেমিককে দিয়ে ফোন করিয়ে মুক্তিপণ চেয়েছিল খোদ মেয়েই। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেলে আসানসোল দক্ষিণ থানার দিলদার নগরে।
দিলদার নগরের বাসিন্দা বছর একুশের ওই তরুণী নার্সিং ট্রেনিং পড়ুয়া। প্রতিদিন সকাল ১১টা নাগাদ ট্রেনিং সেন্টারের যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরতেন। বাড়ি ফিরতে ৫টা- সাড়ে ৫টা হয়ে যেত ৷ বুধবার বিকেল পেরিয়ে সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি ৷ এতে মেয়ে জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে গোটা পরিবার।
ওই সময়ে তরুণীর বাবার কাছে একটি উড়ো ফোন আসে। ফোনের ওপাশে পুরুষ কণ্ঠস্বর জানায়, তাঁদের মেয়েকে অপরহণ করা হয়েছে। সকালের মধ্যে মেয়ের জন্য ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। তা না দিলে তরুণীকে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। ফোন পেয়ে ভয় পেয়ে যান তরুণীর বাবা ৷ মেয়েকে ফিরে পেতে আসানসোল দক্ষিণ থানার দ্বারস্থ হয়। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ পুলিশ তদন্ত নেমে ফোন তরুণীর ট্র্যাক করে। জানা যায়, কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই তরুণীকে।
কলকাতায় অপহরণকারীর ডেরা পৌঁছতে তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ। দেখেন, বহাল তবিয়তেই রয়েছেন ওই তরুণী। জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন। অপহরণের নাটক করে বাবার কাছ থেকে টাকা হাতাতে চেয়ে ছিলেন। ওই তরুণী ও তাঁর প্রেমিককে আটক করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। যুবতীকে আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।