শেষ আপডেট: 13th November 2024 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার রাতে মালদহে অভিযান চালায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার এবং রকি শেখ নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) অর্ক ব্যানার্জি জানান, ট্যাবের ফান্ডের তছরুপ মামলায় ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হবে। মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখের বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। সে তছরুপে সহায়তা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার মালদা থেকে হাসেম আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতের বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইলে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। নিজে একটি অ্যাকাউন্ট মোডিফাই করেছিল হাসেম। যে মোবাইলটি হাসেম ব্যবহার করতো সেটিও আটক করেছে পুলিশ।
রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই জন্য পুজোর ছুটি পড়ার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে পোর্টালে আপলোড করা হয়। বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুলে এবছর ৪১২ জন পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের আবেদন করা হয়। কিন্তু ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। তারপরেই স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই,অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) ও ডিপিওকে। পাশাপাশি পুলিশের সাইবার সেলেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই পড়ুয়ারা জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের ট্যাবের দশহাজার টাকা ঢুকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়ে পড়ে ট্যাবের জন্য টাকা না পাওয়া এই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়া। পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পূর্ব বর্ধমান জেলায় টাকা না পাওয়া ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ট্যাব কেনার টাকা। যে সব পড়ুয়ার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল সেই সব পড়ুয়ারা সবাই ট্যাবের টাকা পায়। পাশাপাশি পুলিশও তদন্ত চালাতে থাকে।