শেষ আপডেট: 2nd October 2024 13:46
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: গত কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে বর্ধমান রাজ কলেজে। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ তুললেন কলেজের অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার বিকেলে বর্ধমানের ইন্দ্রকানন এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল দাবি করেন, একাধিকবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে প্রস্তাব রাখা হলেও কলেজের উন্নয়নের একাধিক প্রস্তাব পাশ করা হয়নি। এমনকি পরিচালন সমিতির বৈঠকে কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে প্রস্তাবগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা করা হয়নি।
তাঁর আরও অভিযোগ, "কলেজের উন্নয়নের টাকা কাজে না লাগিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালন সমিতি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।" গত বছর কলেজের অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্রদের দেওয়া টাকার হিসাব নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষের সম্মতিতে অনুষ্ঠানের জন্য কলেজের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকার সঠিক হিসাব কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া হয়নি।"
অধ্যক্ষ আরও দাবি করেন, পরিচালন সমিতির অসহযোগিতার কারণেই কলেজের উন্নয়ন থমকে আছে। ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে গেলে পরিচালন সমিতির অনুমোদন প্রয়োজন। সম্প্রতি কলেজের পানীয় জলের ব্যবস্থা জন্য পরিচালন সমিতির অনুমোদন মিলেছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
যদিও অধ্যক্ষের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান। তাঁর দাবি, অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ডের টাকার হিসাব দিতে না পারায় উন্নয়ন আটকে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কলেজের স্বার্থে উন্নয়নে পরিচালন সমিতির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "অভিযোগ সত্যি নয়৷ উন্নয়ন আটকে রাখা পরিচালন সমিতির উদ্দেশ্য হবে কেন? আমরা ল্যাবের জিনিসপত্র, বই এবং জলের মেশিনের জন্য টাকা ছেড়েছি। কিন্তু অধ্যক্ষ অ্যাকাউন্টের ঠিকঠাক হিসাব না দেওয়ায় এবং বাজেট না দেওয়ায় পরিচলন সমিতি টাকা ছাড়তে পারছে না।"
বর্ধমানের অন্যতম প্রাচীন রাজ কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তুলে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন পড়ুয়ারা।
সেখ সঞ্জীব, নেহা চৌধুরীরা বলেন, গত ছ'বছর ধরে বর্ধমান রাজ কলেজের উন্নয়ন থমকে। ভেঙে পড়েছে কলেজের মূল গেট। একাধিক দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভে গত কয়েক দিন ধরেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই কলেজে।