ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার
শেষ আপডেট: 11th August 2024 18:33
দ্য ওয়ার ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: রাতে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভাতার থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে।রবিবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
শনিবার রাত সোয়া ২ টো নাগাদ ভাতার থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় চিকিৎসা করাতে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান।
মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিকিৎসা করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেন। কোনও কারণ ছাড়াই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকেন।
ওই মহিলা চিকিৎসককে বলা হয়, আরজি করে কি হয়েছে জানেন তো? এরপর ওই মহিলা চিকিৎসক ভয়ে পেয়ে যান। অন্যান্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডাকেন এবং থানার ফোন নম্বর নেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সমস্ত নার্স এবং চিকিৎসকেরা ভাতার থানায় ডেপুটেশন দেন। তাঁদের দাবি অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে শাস্তি দিতে হবে। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী। তিনিও দাবি করেন, অবিলম্বে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হোক। ভোররাতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুশান্ত রায়কে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
ধৃতের বাবা কালাচাঁদ রায় বলেন "আমার ছেলে ২০১৩ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করছে। সেদিন হাসপাতালে একটি ওষুধ দেওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল। একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়েছিল। তখন আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় তর্কাতর্কি হয়েছিল।" তবে সুশান্ত মাঝে মধ্যে নেশা করত বলেও স্বীকার করে নেয় তিনি।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায় বর্ধমান ভাতার রোডের কামনাড়ায় ডিউটি ছিল। ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে যান। সুশান্ত রায়ের বাড়ি ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২১,১৩২,৩৫২ ও ৩৫২(২)ধারায় মামলা রুজু করে সুশান্ত রায়কে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করে ভাতার থানার পুলিশ। আদালত ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।