শেষ আপডেট: 16th April 2022 10:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার শীত কালে কলকাতা কর্পোরেশনের ভোট হয়েছিল। তখন জানুয়ারি মাস। সেই ভোটে বিরোধীরা ছাপ্পা, সিসি ক্যামেরা ঢেকে দেওয়া সহ গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলেছিল। তারপর ফল বের হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জিতেছে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে আর ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়াফুল প্রার্থীর মার্জিন ছিল ২২ হাজারের বেশি।
কাট টু চৈত্রের গরম। ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জে (Ballygunge Bypoll) যখন ভোট হচ্ছে তখন দেখা গিয়েছিল সকাল সকাল বুথগুলোর বাইরে বেশ লাইন। একে তো গরম, তার উপর পার্ক সার্কাস, বেকবাগান, পাম আভেনিউয়ের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় রোজার জন্য সকাল সকাল ভোট দিতে চলে এসেছিলেন অনেকে।
শনিবার ভোট গণনা হয়েছে। বালিগঞ্জের মধ্যে পড়ে ৬৪ আর ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড। দেখা গেল এই দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের ১৮ হাজার ও ২২ হাজারের ব্যবধান মুছে গিয়েছে। তৃণমূলকে পিছনে ফেলে মাথা তুলেছে বামেরা।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ১৫টি। বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৬১৩। ব্যবধান ছিল ১৮৪০২। ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৪২৮টি। বামফ্রন্ট মনোনীত আরএসপি প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৫৮টি। ব্যবধান ছিল ২২ হাজার ৬৩০।
এই ৬৫টি নম্বর ওয়ার্ডেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি। অনেকদিন পর বুদ্ধবাবুর পাড়ায় জিতল সিপিএম। এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ছিলেন রিজওয়ানুর রহমান। অনেকে বলেন, যাঁর মৃত্যু বুদ্ধবাবুর কুর্সি টলিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ। রিজওয়ানুরের মৃত্যু কলকাতা সহ বাংলায় সিপিএমের সংখ্যালঘু গণভিত্তিতেও বড়সড় ফাটল ধরিয়েছিল বলে অনেকের মত।
সেই এলাকায় সিপিএম লিড পেয়েছে। দুই ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম একটিতে এগিয়ে রয়েছে ১২১৮ ভোটে অন্যটিতে ২২৪ ভোটে।
এ ব্যাপারে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা তো কবে থেকেই বলছি, ভোট লুঠ করাটাকে তৃণমূল এমন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সঠিক ভাবে জানেন না তাঁর দলের আসল গনভিত্তি কী। আশা করি ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড দেখে মাননীয়ার সেটা মালুম হচ্ছে।”