শেষ আপডেট: 10th November 2024 20:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় বলে 'মাছের রাজা রুই'। কিন্তু সেই মাছের রাজাকেও নাকি স্বাদে হার মানায় 'বাঘা কাতলা'। তবে সাম্প্রতিককালে বাজারে বাঘা কাতলার দেখা পাওয়া বেশ কঠিনই বলা যায়। তবে বাজারে না পাওয়া যাক, জালেই যদি উঠে আসে ১০, ১৫ বা ২০ কেজির মাছ, তবে তা দেখতে নদীর ধারে ভিড় তো জমবেই!
রবিবার সকালে সামশেরগঞ্জের শিবনগরের ঘটনা। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, দীপাবলি ভাইফোঁটা, ছট পুজো একে একে সব উৎসবই প্রায় মিটেছে। চলছে এ মরশুমের শেষ উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে উৎসব যতই থাক, রুজি রোজগার তো থেমে থাকবে না। আর যদি দুটো বাড়তি টাকা আসে তাতে ক্ষতি কী!
খানিকটা এমন ভেবেই নদীতে জাল ফেলেছিলেন মাঝিরা। শীত আসি আসি করছে। হেমন্তের শেষ বেলায় যদি দু'- একটা ইলিশ ওঠে জালে তবে মন্দ হয় না। কিছু টাকা তো আসবে। সেই ভেবেই গঙ্গায় ডিঙ্গি নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মাঝিরা। লক্ষ্য ছিল ইলিশ ধরা। কিন্তু জালে ধরা দিল বাঘা কাতলা। আর সেই সব মাছের চেহারা কী! এক একটির ওজন ১০, ১৫, ২০ কেজি।
সেই মাছ দেখতে নদীর ধারে ভিড় জমালেন মানুষ। একেই বাঘা কাতলা, তাও আবার জ্যান্ত! তার সঙ্গে একটা সেলফি না নিলে চলে!
শুধু আয়তনেই নয়, বাঘা কাতলার গুণের ফিরিস্তিও বেশ লম্বা। এই মাছের নাকি খুব স্বাদ। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্যেও এই মাছ বেশ লোভনীয়। আকারে বৃহৎ হলেও এই মাছ খেয়ে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই মাছে নাকি চর্বি কমে। মাছের প্রোটিনের পরিমাণও প্রচুর। এ ছাড়া উৎসব অনুষ্ঠানে কাতলা মাছের কালিয়া অথবা দই কাতলা তালিকার উপর দিকেই থাকবে।
তবে এই বাঘা কাতলার শরীরের মতো দামটাও বিপুল। রোজকার মাছের বাজারে এমন মাছের দেখা পাওয়া যায় না। তাই শিবনগরে গঙ্গার ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন আশপাশের গ্রামের মানুষজন। মাছের ছবি কিংবা মাছের সঙ্গে সেলফি নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। অনেকে আবার এতেই থেমে থাকেননি। মাছের গায়ে হাত দিয়ে একবার দেখে নিয়েছেন, কেমন এই জ্যান্ত বাঘা কাতলা।