শেষ আপডেট: 5th January 2025 11:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একে অপরকে দেখে নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গেছিল।
শনিবারই বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও পোস্ট করে অভিজিতের নিমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন বাবুল। তিনি লেখেন, গ্ৰেফতার করতে কোথায় নিয়ে যায় দেখি, বিমানের টিকিট দেয় কী না দেখি তারপর। নিমন্ত্রণের অপেক্ষা শুরু।"
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে 'ফ্রাস্ট্রেটেড', 'অপদার্থ', 'ধর্মান্ধ' একাধিক ভাষায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। বাবুল লেখেন, "ফ্রাস্ট্রেটেড গাঙ্গুলিকে জানিয়ে রাখি, শুক্র ও শনিবার উনি যে আইনি ও সাংবিধানিকভাবে নিজেকে অপদার্থ হিসেবে প্রমান করেছেন আমাকে ভারতের কোনও এক রাজ্যে গ্ৰেফতার করাবেন বলে।"
তিনি আরও দাবি করেন, "আমি বাঙালির প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদে, ভাল কাজের স্বীকৃতি না দেওয়ার রাগে শুধু বিজেপি নয়, সাংসদ পদ ও ছেড়েছিলাম। আর উনি বিচারকের পদ থেকে সোজা বিজেপিতে।"
এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, "মোদীজির কড়া নির্দেশে দেশ-বিদেশে আমার গান গাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল। এমনকি টিভির কোনও অনুষ্ঠানে গান গাইলে রুষ্ট হতেন। আর এখানে (বাংলায়) মাননীয়া দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মন খুলে গান গাওয়ার উৎসাহ দেন। তাই এবার থেকে আমার যত শো হবে তাঁকে নিমন্ত্রণ জানাব ভাবছি।"
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর বচসা চলে দুই নেতার। জানা গেছে, দুজনের গাড়িই কলকাতা থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। বাবুলের দাবি, পিছন থেকে হর্ন বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেটি তাঁর গাড়িকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। তখন তিনি মুখ বাড়িয়ে ওই গাড়ির চালককে ধীরে চালানোর পরামর্শ দেন।
কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ওই গাড়িতে বসা ব্যক্তি তাঁর কথার তোয়াক্কা না করেই গাড়ি চালিয়ে যেতে বলেন চালককে। তখনও বাবুল জানতেন না, কে বসে আছে পিছনের সিটে। এরপর দ্বিতীয় গাড়িটি কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সেটিকে কোনওরকমে থামান বাবুল। দাবি করেন, গাড়িতে আর কেউ নন, বসে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাংসদকে দেখতে পেয়ে গাড়ির পিছনের দিকে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। আস্তে চালানোর কথা বলেন। কিন্তু অভিযোগ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে গালাগাল দেন এবং বলেন, 'যা করেছে বেশ করেছে।'
বাবুলের দাবি অনুযায়ী তিনি বিজেপি সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়া তো দূর, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি তাঁকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে 'দেখে নেওয়ার' হুঁশিয়ারি দেন।