শেষ আপডেট: 2nd January 2019 09:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো : চলতি আর্থিক বছরে গাড়ির তেলের চেয়ে সস্তা হয়ে গিয়েছে বিমানের জ্বালানি। গত ১ জানুয়ারি থেকেই এভিয়েশন টার্বাইন ফুয়েল বা এটিএসের দাম কমানো হয়েছে ১৪ শতাংশ। গত অক্টোবরেও ওই জ্বালানির ওপরে শুল্ক কমানো হয়েছে। বিমানের জন্য পেট্রলিয়াম থেকে জ্বালানি তৈরি করা হয়। গাড়ির চেয়ে সেই জ্বালানি উন্নতমানের। বেশিরভাগ কমার্শিয়াল ফ্লাইট ও যুদ্ধ বিমানে যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে জেট ফুয়েল। তাতে খরচ কম পড়ে। এছাড়া ডিজেল থেকেও বিমানের জন্য একপ্রকার জ্বালানি তৈরি হয়। এছাড়া বিমানের পিস্টন ও ওয়ানকেল রোটারি ইঞ্জিনের জন্য পেট্রলিয়াম স্পিরিট ব্যবহার করা হয়। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি জেট ফুয়েলের ওপরে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয় ২.৬ শতাংশ। দিল্লিতে বিমানের জ্বালানির দাম কমে কিলোলিটার পিছু ১৯৬২ টাকা। প্রতি কিলোলিটারের দাম হয় ৭২ হাজার ৬০৫ টাকা। আগে মুম্বইতে বিমানের জ্বালানির প্রতি কিলোলিটারের দাম ছিল ৭৪ হাজার ১৭৭ টাকা। অক্টোবরে কমে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ২২৫ টাকা। লোকসানে চলা উড়ান শিল্পকে স্বস্তি দেওয়ার জন্যই সরকার বিমানের জ্বালানির শুল্ক কমিয়ে দেয়। ২০১৭-১৮ সালের আর্থিক বছরে উড়ান শিল্পের ২৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে এই লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০০ কোটি টাকা। এই ক্ষতির জন্য দায়ী উড়ান ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতা এবং জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এদেশে বিমানের জ্বালানির দাম ছিল কিলোলিটার পিছু ৫১ হাজার ৬৪০ টাকা। ২০১৮ সালের মার্চে সেই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছ’মাসের মধ্যে দাম বাড়ে ২২.৩১ শতাংশ। সাধারণভাবে ২০১৭-১৮ সালের আর্থিক বছরে গড়ে বিমানের জ্বালানির দাম বাড়ে ১০.৪ শতাংশ। বিমান সংস্থাগুলি বাড়তি তেলের দাম যাত্রীদের থেকে আদায় করে। টিকিটের দাম বেড়ে যায়। ফলে বিমানে যাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে কমে। আরও সংকটে পড়ে উড়ান শিল্প। এই অবস্থায় হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। জেট ফুয়েলের শুল্ক দফায় দফায় কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে একসময় এটিএসের দাম গাড়ির জ্বালানির থেকে কম হয়ে পড়ে। এর ফলে গত কয়েক মাসে বিমানে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু শুধু জ্বালানির দাম কমিয়েই উড়ান শিল্প মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা তা এখনও বলতে পারছে না তথ্যাভিজ্ঞ মহল।