শেষ আপডেট: 2nd February 2025 08:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত জানুয়ারিতে দুটি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল নেতার। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে হামলার মুখে পড়লেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারের ধরমপুরের কাছে রাজ্য সড়কে উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ি বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পান সাবিত্রী মিত্র। বিধায়কের অভিযোগ, "ধাক্কা মারার পরও ইউটার্ন নিয়ে পিছু ধাওয়া করেছিল ওই সন্দেহজনক গাড়িটা!"
ঝুঁকি এড়াতে এরপরই একটি জনবহুল এলাকায় গাড়ি থামিয়ে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিধায়ক। ফোন করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মালদহে দুই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই দুই স্থানীয় নেতা-সহ একাধিকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। এক্ষেত্রেও কি দলের কেউ জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে? সরাসরি এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি স্বয়ং বিধায়ক।
সাবিত্রী মিত্রর সাবধানী প্রতিক্রিয়া, "কে বা কারা হামলার চেষ্টা করছে তা আমি বলতে পারব না। তবে যেভাবে ধাক্কা মারার পরও ওই গাড়ি আবার ইউটার্ন নিয়ে পিছু ধাওয়া করেছিল, তাতে স্পষ্ট ওটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল না, ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তাই বিষয়টি দলের রাজ্য সভাপতিকে জানিয়েছি।"
ঘটনার পর সাবিত্রী মিত্রর নিরাপত্তায় বাড়তি তৎপর জেলা পুলিশ। শাসকদলের তরফেও ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে এখনই এবিষয়ে রাজ্য নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বহু চর্চিত বিষয়। এমনকী সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে মালদহে গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, "এখানকার পলিটিক্স আমিও ঠিক বুঝি না!"