শেষ আপডেট: 19th August 2024 09:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য সহ গোটা দেশ। নির্যাতিতার বিচার চাওয়ার পাশাপাশি নারী নিরাপত্তা ইস্যুতেও আওয়াজ তোলা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে নারী নিরাপত্তায় আরও জোর দিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে এসবের মাঝেই মালদহে আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক, নার্স! ঘটনায় অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতা, যিনি গ্রেফতার হয়েছেন বলে খবর।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে থাকা ডাক্তার, নার্সকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নার্সিং স্টেশনে ঢুকে কর্তব্যরত নার্সদের অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করা হয়। হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার এর প্রতিবাদ করায় তাঁকেও মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিনাশ দাস নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।
হাসপাতালের নার্সিং স্টেশনে এমন হইচই শুনে বাকি ডাক্তার, নার্সরাও ছুটে আসেন। তাঁরা অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে পুলিশে খবর দেন। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে আতঙ্কে রয়েছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। আরজি করের মতো বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও কোথায় নিরাপত্তা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু মালদহের হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটল কেন?
পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, এক রোগীর খোঁজ করতে এসেছিলেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু আচমকাই কর্মরত নার্সদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন তিনি। এমনকী তার প্রতিবাদ করা হলে বাকি ডাক্তারদের মারধর করা হয়, নার্সদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে! এলাকার বিরোধী রাজনৈতিক শিবির দাবি করেছে, ওই তৃণমূল নেতাকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এবং হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তাজমুল হোসেনের সঙ্গে আরজিকর-এর ঘটনার প্রতিবাদ মিছিলে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল।