শেষ আপডেট: 15th July 2024 16:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবারও কি শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে? এর আগে দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরম পর্যায়ে গেছিল। এবার সদ্য সমাপ্ত চারটি উপনির্বাচনের প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়ে যাতে একইরকম জটিলতা সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগে থেকে তৎপর বিধানসভা। রাজভবনে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে চিঠি।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শপথ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজভবন থেকে স্পষ্ট জানান হয় তাঁদের রাজ্যপালের কাছে শপথ নিতে হবে। এই নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। শেষে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে রাজভবন শপথবাক্য পাঠের দায়িত্ব দিলেও তিনি তা নিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিধানসভায় স্পিকার থাকাকালীন এই কাজ তিনি করতে পারেন না। অবশেষে, ওই দুজনকে শপথবাক্য পাঠ করান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
গত ১৩ জুলাই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা, চারটিতেই জিতেছে তৃণমূল। সেই চার বিধায়কদের শপথগ্রহণে যাতে আগের মতো জটিলতা না হয় তার জন্যই বিধানসভা থেকে চিঠি গেছে রাজভবনে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ''শপথবাক্য পাঠ তো করাতেই হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। যেটা নিয়ে আগে এত বিতর্ক হয়েছিল, সেই দিকে না গিয়ে তিনি যদি শপথ পাঠের অনুমতি স্পিকারকে দেন তাহলে সময়ের মধ্যেই শপথবাক্য পাঠ করানো হতে পারে।'' কিন্তু তেমনটা না হলে কী হবে, সেটাও জানান বিমান। তাঁর স্পষ্ট কথা, আবার বিতর্ক সৃষ্টি হলে বিধানসভা অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে।
রাজভবন থেকে সহযোগিতা না পাওয়া গেলে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে বিমান বলেন, ''রাজ্যপাল চিঠির উত্তর দেবেন কিনা সেটা দেখতে হবে। দিলে কী উত্তর দেন, সেটাও দেখার বিষয়। সেটা না জানা পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা যাবে না।'' বিমানের কথায়, এভাবে যারা মাঝপথে ভোটে জিতে আসছে তাদের স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করান, সারা দেশজুড়ে তেমনটাই হচ্ছে। এটা কোনও ব্যতিক্রমী বিষয় নয়।