শেষ আপডেট: 29th October 2024 19:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারের ভোটে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়নি। পরিবর্তে সিপিআইএম (লিবারেশন) এবং আইএসএফের সঙ্গে একটি করে আসনে 'রফা' করেছে বামেরা।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে রদবদলের জেরেই বাম-কংগ্রেসের জোট ভেস্তে গেছে। এবং অদূর ভবিষ্যতে আদৌ আর জোট হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান বিভিন্ন মহল।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ব্য়াখ্যা, "জোটে কংগ্রেস থাকলে ভাল হত। কিন্তু কংগ্রেসের সভাপতি পাল্টেছে। দায়িত্বে নতুন মানুষ এসেছেন। তাদের সঙ্গে যে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেটা খাপে খাপ হয়নি।"
কোনটা খাপে খাপ হয়নি? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের স্বীকারোক্তি, "জোট হলে যে ৬টি আসনে ভোট হচ্ছে তাতে কংগ্রেসের একটি আসন প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ঠিক সময়ে তো দান খেলতে হতো, সেখানে একটু দেরি হয়ে গেছে। তাছাড়া খুব কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন ডাকা হয়েছে। ফলে আলোচনার পর্যাপ্ত সময়ও মেলেনি।"
উপ নির্বাচনে জোট না হলেও অতীতের মতো আগামী দিনেও এরাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেরা যে জোট বেঁধে লড়তে ইচ্ছুক, সেই বার্তাও দিয়েছেন সেলিম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কথায়, "এখানে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির কথা হয়েছে, যাতে সম্পর্কটা আরও আঁটসাটো হয় এবং আগামী দিনে আমরা আবার একসাথে লড়তে পারি।"
সেলিম একথা বললেও কংগ্রেসের অভ্যন্তরের খবর, অদূর ভবিষ্যতে সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের যে সুসম্পর্ক কোনও কালেই ছিল না তা সর্বজনবিদিত। সেদিক থেকে বর্তমান প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার অনেকটাই তৃণমূলপন্থী। ফলে তাঁর আমলে আগামীদিনে সেলিমদের স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা দেখছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই।