শেষ আপডেট: 27th September 2022 16:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থান (Rajasthan) কংগ্রেস নিয়ে সনিয়া (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীর অবস্থান বদল হতে পারে। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর আজ সন্ধ্যার পর। গতকাল কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া দলীয় মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজস্থানের ঘটনাবলী নিয়ে। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে গেহলটের বিকল্প নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছিল।
কিন্তু আজ সন্ধ্যার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। প্রথমত, আজ গেহলটের সঙ্গে সনিয়ার দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয়। গেহলট ফোনে নেত্রীর কাছে দাবি করেন, বিধায়কদের একাংশের পরিষদীয় বৈঠকে অংশ না নেওয়া, তাঁদের পৃথক বৈঠক ইত্যাদির বিষয়ে তিনি মোটেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না। জানা যাচ্ছে, জয়পুর থেকে ফিরে মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেনও তাঁদের রিপোর্টে গেহলটকে ক্লিনচিট দিয়েছেন।
তবে ক্লিনচিট দেওয়াটা খাড়গে এবং মাকেনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নাকি মত বদলে সনিয়া, রাহুলরা তাঁদের এমন রিপোর্ট পেশ করার পক্ষেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন আছে। অনেক সময়ই বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে দলের প্রয়োজনে আপসের রাস্তায় হাঁটে দল। দু'বছর আগে রাজস্থানেই এভাবে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল গেহলট বিরোধী সচিন পাইলটকে। অনুগামী ১৭ বিধায়ককে নিয়ে তিনি হরিয়ানার মানেসরের রিসর্টে উঠে গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি থেকে সরাতে চেয়েছিলেন। সেবারও কয়েকজন বিধায়ককে বলির পাঁঠা করে সচিনকে আড়াল করেন রাহুল। তখনও রাজস্থানের এই মাঝবয়সি নেতাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, গেহলটের চেয়ারে তাঁকেই বসানো হবে ভবিষ্যতে। এখন গেহলটের জাতীয় সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সচিন দাবি তুলেছেন তাঁকে এবার মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।
গেহলটকে নিয়ে কেন সনিয়া, রাহুলরা নরম মনোভাব নিতে চলেছেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে বিবাদ ছাড়া গেহলটকে নিয়ে বড় কোনও সমস্যা নেই। বরং দলীয় সভাপতি পদে বসতে আগ্রহী বাকিদের তুলনায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। সনিয়া, রাহুলদের প্রথম অগ্রাধিকার আনুগত্য। সেই ব্যাপারে দশে দশ পাওয়ার জায়গায় আছেন একমাত্র গেহলট। ফলে অভাবনীয় বিদ্রোহের রাস্তায় হাঁটলেও তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড় থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে চাইছে না গান্ধী পরিবার।
তাছাড়া, সামনে দাঁড়িয়ে বিদ্রোহের নেতৃত্ব না দিলেও গেহলট প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁর মতামতকে উপেক্ষা করে রাজস্থানে সরকার চালানো এবং আগামী বছর বিধানসভা ভোটে জিতিয়ে আনা কঠিন হবে। অনেকেই মনে করছেন, গেহলটকে উপেক্ষা করার পরিনাম পাঞ্জাব হতে পারে, যে কথা বলে রাজস্থানের এক মন্ত্রী দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। দলের অনেকেই ভাবছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জেদাজেদির রাস্তায় হাঁটার পরিনাম হবে রাজ্যটি হাতছাড়া হওয়া।
এই অবস্থায় কংগ্রেস হাইকমান্ড গেহলটের কিছু অতি বিদ্রোহী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারে।
মোদীর ‘জল জীবন’ হোক না মমতার ‘জল স্বপ্ন’, পুরস্কার তো পেল বাংলাই!