খনি এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ।
শেষ আপডেট: 7 December 2024 07:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একের পর এক বিস্ফোরণ! তারই জেরে আতঙ্কে জেরবার আসানসোলের খনি এলাকার বাসিন্দারা। বসতবাড়ি তো বটেই, খনির ভয়ঙ্কর কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্থা্নীয় স্কুল ব্লিডিংও।
ঘটনার প্রতিবাদে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েও সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, 'হয় প্রশাসন এর বিহিত করুক, না হলে আমাদেরকেই ব্যবস্থা করতে হবে।'
আসানসোলের জামুড়িয়াতে রয়েছে একের পর এক খনি। অভিযোগ, বিস্ফোরণের সুবিধার জন্য অধিকাংশ মালিক খনির মুখ খোলা রেখেছেন। তারই জেরে বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ বীজপুর গ্রামের বাসিন্দাদের।
গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চওড়া ফাটল। এমনকী গ্রামের বিদ্যালয়েও ফাটল ধরেছে। আতঙ্কে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক জানান, খনিতে বিস্ফোরণের কারণে স্কুল ভবনের একদিকে ফাটল ধরেছে এবং ভবনের অন্যদিকে ছাদ খসে পড়ছে। বিপদের আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট ভবনে ক্লাস করা যাচ্ছে না।
খনি কতৃর্পক্ষকে এব্যাপারে অনেক বার চিঠি পাঠানো সত্ত্বেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, আগে শ্রমিকদের দিয়ে খনি এলাকায় খননের কাজ করা হত। এখন কম সময়ে বেশি এলাকায় খননের জন্য ডিনামাইট দিয়ে সারা দিনে একাধিকবার খনিতে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে মালিকপক্ষ। তীব্র আওয়াজে যেমন কান পাতা দায়, তেমনই বিস্ফোরণের জেরে মাটিও কেঁপে উঠছে। এরকম চলতে থাকলে এলাকা থেকে বাড়ি, ঘর সব ধ্বংস হয়ে যাবে।
অভিযোগ, গত দু'বছর ধরে এ জিনিস চলে আসছে। বারংবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ভ্রূক্ষেপ করেননি। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয়। আবারও অভিযান চালানো হবে। তবে এ ব্যাপারে খনি কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।