শেষ আপডেট: 26th October 2024 17:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর পোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার প্রকাশ্যে এসেছে একটি অডিও ক্লিপ। যা থেকে স্পষ্ট তরুণী মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে ধৃত প্রেমিক রাহুল বসুর এক বন্ধুর কাছে দেশলাই ও কেরোসিন কেনার কথা জানিয়েছিলেন।
কিন্তু সবকিছু জানার পরও কেন ওই বন্ধু তরুণীর পরিবারকে সবটা জানালেন না? পুলিশের অনুমান, তবে কী সবটা জেনেবুঝেও চুপ করেছিলেন মৃত তরুণী ও ধৃত প্রেমিকের ওই ‘কমন ফ্রেন্ড’? সম্প্রতি যে অডিও ক্লিপটি পুলিশের হাতে এসেছে, সেখানে এক পুরুষ ও এক মহিলার কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অডিও ক্লিপটিতে মহিলার গলাটি সোনারপুরের এক তরুণীর। কৃষ্ণনগরের তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার আগে সোনারপুরের এই তরুণীর সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল ধৃত যুবকের। বছরখানেক আগে সেই সম্পর্ক ভেঙেও যায়। এর মধ্যে সোনারপুরের ওই তরুণীকে বিয়েরও অভিযোগ সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে এই অডিও ক্লিপ বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। সেই কথোপকথনের সূত্র ধরেই দু’জনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা পুলিশের। অডিও ক্লিপে দুজনের কথোপকথনের কথাও সামনে এসেছে। পুরুষকণ্ঠে শোনা যায়, ‘শুনছি দেশলাই, কেরোসিন তেল কিনেছে।’ মহিলাকণ্ঠে প্রশ্ন আসে কী করবে এখন? পাল্টা পুরুষ কণ্ঠে শোনা যায় ‘মনে হয় মরবে’। এরপর মহিলা প্রশ্ন করেন, ‘পাগল নাকি’! পুরুষ কণ্ঠে শোনা যায়, ‘আমি বলেছি যা খুশি করো।’
মহিলা আরও বলেন, তোমাকেই কেন ফোন করছে? যদি কিছু করে বসে! এরপরই পুরুষ কণ্ঠে শোনা যায় ‘হ্যাঁ, আমার তো চাপ হয়ে যাচ্ছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি শুধু দু’জনের মধ্যে ছিল না। পুরো ঘটনার কথা জানতেন চার জন। ঘটনার দিন ছাত্রী তাঁর এক বন্ধুকে ফোনে জানিয়েছিল যে সে আত্মঘাতী হতে চলেছে। রাহুলকে ২১ বার ফোন করেছিলেন ওই ছাত্রী। বিকেল ৪টে নাগাদ ফোন করে বন্ধুকে জানান, কোরোসিন কিনেছে সে। সেকথাই ওই বন্ধু রাহুলকে ফোন করে জানায়। ঘটনার দিন ১০টা ১২ মিনিটে ওই বন্ধুর ফোনে ছাত্রীর সঙ্গে রাহুলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। তখনই রাহুল ছাত্রীকে সম্পর্ক শেষে করার কথা বলে। তার পরেই ছাত্রীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের দাবি, রাহুল বসু জেরায় স্বীকার করছে, আরোহী নামে সোনারপুরের বাসিন্দা মেয়েটির সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল। অনুষ্ঠান করে বিয়ে না-করলেও তাঁরা নিজেরা বিয়ে করেছিলেন বলে দাবি অভিযুক্তর। কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত হলেও খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই রাহুলের বন্ধু ও সোনারপুরের বাসিন্দা আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সবকিছু স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।