শেষ আপডেট: 27th July 2023 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আমাকে সীমার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে, আমি সীমা নই’, সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জোর গলায় দাবি করেছিলেন রাজস্থান থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যাওয়া অঞ্জু (Indian woman Anju)। যেদিন এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার জানা যায়, পাকিস্তানের ‘বন্ধু’কে বিয়ে করে নেন, শুধু তাই নয়, ধর্ম পাল্টে নামও পরিবর্তন করেন অঞ্জু (Anju)। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এবার ৩৪ বছরের অঞ্জুর বাবা (Father Of Anju) জানালেন, মেয়ে তাঁর কাছে মৃত। ভারতে ফিরে আসার আর অধিকার নেই তাঁর।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাসিন্দা নাসরুল্লাহ নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় রাজস্থানের বধূ অঞ্জুর। দু’বছর পর নিজের দুই সন্তানকে রেখে আচমকাই একদিন সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান অঞ্জু। কাঁটাতার তাঁর ভালবাসায় বাঁধা হতে পারেনি। দিন কয়েক সেখানে থাকার পর নাসরুল্লাহর সঙ্গে ‘নিকাহ’ সম্পন্ন করেন অঞ্জু। ধর্ম বদলানোর পর তাঁর নাম হয়েছে ফতিমা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে নসরুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে ডাইনিং টেবিলে বসে বোরখা পরে খেতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মেয়ের এসব কীর্তি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন থমাস।
'সে যা করেছে তার জন্য আমি লজ্জিত এবং সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দুই সন্তানকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও অধিকার ওর নেই,' সাফ জানিয়েছেন তিনি। এমনকী অঞ্জুকে 'কলঙ্ক' বলে উল্লেখ করে তিনি ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁর নাম থেকে ফতিমা ওরফে অঞ্জুর নাম যেন মুছে ফেলা হয়। 'ওর (অঞ্জু) সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। যে মুহূর্তে ও ভারত ছেড়েছে, আমরা ওর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছি। আমি কল্পনাও করিনি যে আমার মেয়ে এমন কিছু করতে পারে। সে যা করেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক,' জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ থমাস।
মঙ্গলবার জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারকের সামনে আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন ভারতের ৩৪ বছরের তরুণী অঞ্জু এবং নাসরুল্লাহ। তারপরই বাড়িতেই এক ঘরোয়া আড্ডায় খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই আড্ডার ভিডিওই প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি, যা নিয়ে ফের বির্তক শুরু হয়েছে।
এসএসসি প্রকাশিত সেই ৯০৭ প্রার্থীর ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত নম্বর বাড়ানো হয়েছিল!