ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 25 February 2025 16:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কুমোরটুলিতে (Kumartuli Case) ট্রলিব্যাগে (Trolley Murder Case) যার দেহ মিলেছে তার সঙ্গে ধৃতদের বচসা হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছায় তাদের মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বাড়িতে গেছিলেন, নাকি তাঁকে ডাকা হয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় বারবার বয়ান বদলাচ্ছেন ধৃতরা। তাতেই ধন্দ বাড়ছে পুলিশের।
এই ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা মা-মেয়ে। নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। নিহত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার প্রাথমিক তদন্ত বলছে, মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই তাঁকে খুন করেন ফাল্গুনী। সঙ্গ দেন তাঁর মা। তবে জানা গেছে, খুনের আগে তিনজনের মধ্যে বচসা হয়েছিল। রাগের জেরে পিসিশাশুড়ির মাথায় ইট মেরে ফাল্গুনী খুন করেন তাঁকে।
সূত্রের খবর পুলিশকে ফাল্গুনী জানিয়েছেন, রাগের বশে পিসিশাশুড়িকে দেওয়ালে ধাক্কা মেরেছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। তারপর ওঠার পর ফের ঝামেলা শুরু হয়। তখনই তাঁর মাথায় ইট মারেন তিনি। মৃত্যু হয় পিসিশাশুড়ির। তবে দেহ লোপাট কোথায় করা হবে, তা মাথায় আসছিল না তাঁদের। এরপরই ট্রলিব্যাগে তা ঢোকানোর কথা মাথায় আসে। তবে ট্রলিতে পুরো দেহ না ঢোকায় গোড়ালি কেটে তা ঢোকানো হয়।
ফাল্গুনী আদতে সত্যি বলছেন কিনা তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে পুলিশের। কারণ ইতিমধ্যে বয়ান বদলাতে দেখা গেছে তাঁকে। আর সবথেকে বড় কথা, ঠিক কবে খুন করেছেন তারা, পিসিশাশুড়ি কেন বাড়িতে এসেছিলেন, কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, তার ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, গয়না বা সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা হতে পারে।
এমনিতেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে ফাল্গুনীদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়িতে রাতে অচেনা লোকজন আসত। পাড়া-পড়শিদের সঙ্গেও তাঁদের অনেকবার ঝামেলা হয়েছে। তাই বিগত কয়েক মাস ধরে ফাল্গুনীরা কার্যত একঘরে হয়েই থাকতেন। জানা গেছে, নিজের বরের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক নেই ফাল্গুনীর। তিনি কর্মসূত্রে অসমে থাকেন।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশ পল্লীতে গত আড়াই বছর ধরে ভাড়া রয়েছেন মা-মেয়ে। ওই ভাড়া বাড়িতেই প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ফাল্গুনীর কথায়, দুদিন আগে খুন করেছিলেন তিনি। মৃতদেহের পচা গন্ধ ঢাকতে রাসায়নিক স্প্রে করে রাখা হয়েছিল। শেষে দেহ লোপাটের জন্য জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।