সৌমিত্র খাঁ
শেষ আপডেট: 25 June 2024 07:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। এর আগে একাধিক তলব করেও হাজিরা দেননি সৌমিত্র। আর এবার হাজিরা এড়ালে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর এমএলএ, এমপি আদালতের বিচারক।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় সৌমিত্রর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় সৌমিত্রকে এর আগে চার বার এমপি, এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। এদিনও তিনিও আদালতে উপস্থিত হননি। সৌমিত্রর আইনজীবী জানান, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর মক্কেল হাজিরা দিতে পারছেন না। এদিকে বার বার তলব করেও হাজিরা না দেওয়ায় সৌমিত্রর উপর এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এরপরই আগামী ৯ জুলাই ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক। আর সেই হাজিরা এড়ালে সৌমিত্রকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদলত।
চব্বিশের লোকসভায় বিষ্ণুপুর আসন থেকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে হারিয়েছেন সৌমিত্র। ৫৫৬৭ ভোটে জিতেছেন বিজেপির সৌমিত্র। যদিও আগের চেয়ে তাঁর ভোটের ব্যবধান কমেছে। ২০১৪ সালে এই আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে সৌমিত্র জিতেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ভোটে। এরপর ২০১৯ সালে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৭৮ হাজার। তবে সেবার সৌমিত্রের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সুজাতার। আইনি জটিলতায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে ঢুকতেই পারেননি। তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা। শেষ পর্যন্ত জেতেন সৌমিত্র। এর দু'বছরের মধ্যেই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আলাদা হয় তাঁদের রাজনীতির পথও।