শেষ আপডেট: 11th November 2024 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর পাঁচজনের মত ধোপদুরস্ত হয়ে বাড়ি থেকে 'অফিসে' যেতেন। আদতে তাঁর 'অফিস' যে অন্যের ফাঁকা বাড়ি এবং পেশা যে চুরি করা, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। এও বুঝতে পারেননি যে অভিযুক্ত আসলে পুজোর আগে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে!
সোমবার পুলিশ বারাসতের একটি ফ্ল্যাট থেকে মিজানুর তালুকদার নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতারের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশের দাবি, মিজানুরের পেশা হল- আগে থেকে রেকি করে গিয়ে ফাঁকা বাড়িতে চুরি করা।
গত অক্টোবর মাসে বারাসতের একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনায় সে জড়িত বলে পুলিশের দাবি। মিজানুর একা নাকি তাঁর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এ প্রসঙ্গে সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে জেলার বাসিন্দাদের, বিশেষত যারা বাড়ি ভাড়া দেন তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া। তিনি বলেন,"কেউ বাড়ি ভাড়া চাইলেই দিয়ে দেবেন না। আগে ভালভাবে খোঁজ খবর নেবেন।" এ ব্যাপারে পুরসভা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গেও পুলিশ বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন এসপি।
কীভাবে ওপারের চোরের হদিশ পেল পুলিশ?
এসপি জানিয়েছেন, গত ১১ অক্টোবর বারাসতের বাসিন্দা প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ ৩২ হাজার টাকা এবং কিছু গয়না চুরি হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ১১ অক্টোবর প্রবীরবাবুরা সপরিবারে বাড়ি থেকে বেরানোর পরই তাঁদের বাড়িতে ঢোকে ওপারের মিজানুর। একইভাবে অন্যান্য ফাঁকা বাড়িতেও সে চুরি করেছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে মিজানুরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতর বাড়ি থেকে চুরি করা কিছু সোনার সামগ্রীর পাশাপাশি সোনামাপার যন্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।