শেষ আপডেট: 23rd December 2020 10:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সাত মাস ধরে লাদাখে চিন সীমান্তে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। এই শীতের মধ্যে ভারতীয় সেনা শত্রুর মোকাবিলায় কতদূর প্রস্তুত আছে, তা দেখার জন্য বুধবার লাদাখে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সীমান্তের কয়েকটি ফরোয়ার্ড পোস্ট ঘুরে দেখেন তিনি। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর রেচিন লা পোস্টে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান।
পূর্ব লাদাখে তাপমাত্রা এখন শূন্যের নীচে। সেখানে এখন ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা আছে। একই সংখ্যক সেনা মোতায়েন রেখেছে চিনও। এদিন সেনাপ্রধানকে সীমান্তের পরিস্থিতির বিবরণ দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। তিনি লাদাখে ফরটিন কোরের কম্যান্ডার। ওই কোর 'ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর' নামে পরিচিত।
এদিন সকাল সাড়ে আটটায় লাদাখে পৌঁছান সেনাপ্রধান। সারা দিনই তিনি লাদাখের নানা জায়গা ঘুরে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, নাভারানে ফরোয়ার্ড পোস্টে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের কেক ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
কিছুদিন আগে জানা যায়, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ তথা আইটিবিপি।
ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ছড়িয়ে রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। লাদাখের কারাকোরাম থেকে অরুণাচল প্রদেশের জাচেপ লা পর্যন্ত। এই গোটা এলাকায় নজরদারি চালায় ভারত-তিব্বত সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। জুন মাসে গালওয়ানে চিনা সেনার অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছিল আইটিবিপির জওয়ানরা। এর পরেও লাগাতার চুক্তি ভেঙে লাল সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকে দেয় আইটিবিপির জওয়ানরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠায় কেন্দ্র। গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারতের পার্বত্য বাহিনী তথা স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স মোতায়েন করা হয় পাহাড়ি এলাকাগুলিতে।
আইটিবি সূত্র জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এখন সীমান্তে ভারতীয় সেনার সংখ্যা ৯০ হাজার। আইটিবিপির ফোর্স মোতায়েন হলে সংখ্যা লাখে পৌঁছবে।
শীতে লাদাখ সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), এমনটাই দাবি আইটিবির। গত রবিবারই লেহ-র চানথাং এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে দুটি গাড়ি ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। সেই গাড়ি দুটিকে বের করে দেয় স্থানীয়রা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, চিনের সেনারাই সাধারণ পোশাকে ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় এলাকায়। সেই ভিডিও ভাইরালও হয়। যদিও এই অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করেছে পিএলএ।