শেষ আপডেট: 16th July 2024 18:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেলঘরিয়ার 'ডন' জয়ন্ত সিংয়ের প্রাসাদোপম বাড়ির কথা তাঁদের জানা ছিল না বলে সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক থেকে দাবি করেছিলেন সৌগত রায়, মদন মিত্ররা। পরোক্ষে সংবাদমাধ্যমকে দুষে তাঁরা এও বলেছিলেন, 'কোনও গন্ডগোল না হওয়া পর্যন্ত তো সংবাদমাধ্যমও কিছু জানায় না'। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ প্রসঙ্গে আরও বড় অভিযোগ আনলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।
মদন-সৌগতর সাংবাদিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে অর্জুনের অভিযোগ, "জয়ন্ত সিংদের মতো প্রোমোটার, তোলাবাজদের নিয়েই মদন মিত্র থেকে শুরু করে সৌগত রায় চলে। না হলে এদের সংসার চলবে না। মদন মিত্রদের ফুটানি বন্ধ হয়ে যাবে।"
অর্জুন সিং। বিজেপি নেতা।
অর্জুনের দাবি, "জয়ন্ত সিংয়ের ভাইরাল ভিডিও তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এখন পাবলিককে বোকা বানাতে না জানার ভান করছেন সৌগত রায় ও মদন মিত্র।" জয়ন্তকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য গভীর রাতে হুমকি ফোন এসেছিল বলে সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের দমদমের সাংসদ এবং কামারহাটির বিধায়ক। অর্জুনের দাবি, "সবটাই সাজানো নাটক।"
যদিও অর্জুনের অভিযোগ সম্পর্কে সৌগত বা মদন মিত্রর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, বেলঘরিয়ার কুখ্যাত জয়ন্ত সিংয়ের গুন্ডামির একাধিক ভাইরাল ভিডিও-র জেরে অস্বস্তিতে শাসকদল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মদন মিত্রকে পাশে নিয়ে সৌগত রায় বলেন, কোনও ভুল হলে সংশোধন করে নিতে হবে। কোনও প্রোমোটারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দেন তিনি। সৌগতর স্পষ্ট কথা, এমন কারও সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না, যার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যমে জয়ন্ত সিংয়ের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ক্লাবে চারজন মিলে একজনকে চ্যাংদোলা করে ধরে রয়েছে। ওই অবস্থায় লাঠিতে করে পেটানো হচ্ছে। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে বেধড়ক মারধরের ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৌলতেও জয়ন্তর এত বাড়বাড়ন্ত। অভিযোগ উড়িয়ে পরিস্থিতির জন্য সে সময় সৌগত এবং পুলিশকে দুষেছিলেন মদন। পরে অবশ্য সৌগত ও মদন দুজনেই যাবতীয় দায় ঠেলেন পুলিশের ঘাড়েই।