ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অবশ্য মনে করছেন, পুলিশের বিদ্রোহ শুরু করা উচিত। নাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তোষণের রাজনীতির জেরে তাদের মার খেয়েই যেতে হবে।
অর্জুন সিং
শেষ আপডেট: 12 June 2025 11:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে ভাঙড়, হালে মহেশতলা। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে যেখানে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার রাতে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে (Maheshtala Incident) সেখানেও পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এই নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ অন্যান্য নেতারা মহেশতলা যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তবে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাবনা একটু ভিন্ন।
মহেশতলার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ইস্যুতে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ (Barackpore Ex MP)। অর্জুনের বক্তব্য, দল যাই করুক, আলাদা করে হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'দলকে বলব আর নিজের থেকেও বলছি, মহেশতলা যাওয়ার ডাক দিতে হবে। যাদের ঘর ভাঙা হয়েছে তাদের পাশে একে একে দাঁড়াতে হবে।' বিজেপি নেতার কটাক্ষ, যারা গন্ডগোল পাকাচ্ছে তারা কাপুরুষ। পুলিশও তাদের কাছে মার খাচ্ছে। এর থেকে লজ্জার কিছু নেই।
রাজ্য পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, মহেশতলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪০ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। আরও এফআইআর হলে গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়বে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, পুলিশ আক্রান্ত তবে কেউই গুরুতর আহত হননি। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অবশ্য মনে করছেন, পুলিশের বিদ্রোহ শুরু করা উচিত। নাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তোষণের রাজনীতির জেরে তাদের মার খেয়েই যেতে হবে।
মহেশতলার মতো পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তার নিদানও দিয়েছেন অর্জুন সিং। বক্তব্য, 'আমরা প্রশিক্ষিত সৈনিক। এই ধরনের পরিস্থিতি ঠান্ডা করার পদ্ধতি জানি। না মারলে এরা কেউ ঠান্ডা হবে না।' অর্থাৎ তাঁর কথায় পরিষ্কার কোন পন্থায় তিনি গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামানোর কথা বলছেন।
অর্জুন এও বলেছেন, শুধু মুখে নয় যে কোনও রসদ নিয়ে হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দল বলুক না বলুক, তিনি তৈরি আছেন। এ বিষয়ে তাঁর কড়া বার্তা, 'দাঙ্গা কীভাবে থামাতে হয় আমি জানি। আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। পুলিশ আমার থেকে ট্রেনিং নিক।'