শেষ আপডেট: 11th March 2024 20:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবাসরীয় ব্রিগেড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ব্যারাকপুরের বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি পষ্টাপষ্টিই বলেন,“ধোঁকা দিয়ে ঠিক করল না। এরকম জানলে তৃণমূলে আসতামই না।" তারপর থেকে ব্যারাকপুর তো বটেই রাজ্য রাজনীতিতে ভিসুভিয়াসের মতই হঠাৎ করে সন্দেহের লাভা গড়াতে শুরু করেছে—অর্জুন কি বিজেপিতে যাচ্ছেন?
সূত্রের দাবি, অর্জুনকে অক্সিজেন জোগানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া তাপস রায়ও। দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন তাপস রায়। পনেরো দিন আগেও বিধানসভায় তাপস রায়ের ঘরে বসে আড্ডা দিয়েছিলেন অর্জুন। সেদিন বিকেলে সুব্রত বক্সী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুনকে ডেকেছিলেন। সেখানে ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। অর্জুন ঘনিষ্ঠদের দাবি, সেদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থদের উদ্দেশে বলেছিলেন, তোমরা ঝগড়া মিটিয়ে নাও। অর্জুনই ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী হবেন।
এখন কৌতূহলের বিষয় হল, অর্জুন কী করবেন? তিনি কি বিজেপিকে বার্তা পাঠাতে শুরু করে দিয়েছেন? সূত্রের দাবি, দিল্লির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা হয়েছে তাঁর। তবে এদিন প্রকাশ্যে তিনি কিছু বলেননি। শুধু সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “ব্যারাকপুরের মাটি আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যারাকপুরের মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন আর আমি ব্যারাকপুরকে হৃদয়ে ধারণ করেছি”।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এর অর্থ পরিষ্কার। অর্জুন বোঝাতে চেয়েছেন ব্যারাকপুরের প্রশ্নে কোনও আপস নয়। তিনি মাটি কামড়ে সেখানে পড়ে থাকবেন। এই অর্জুন আর যাই হোক ব্যারাকপুরকে পার্থ ভৌমিকের ব্যারাকপুর হতে দিতে চান না।
পার্থ ভৌমিককে ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী করা হয়েছে। এদিন পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, “কাল পরশুর মধ্যে অর্জুনের বাড়িতে চা খেতে যাব।” তাঁর কথায়, “আমি এখন মন্ত্রী। কখনও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হব ভাবিনি। দল যখন প্রার্থী করেছে। তখন জেতার জন্যই লড়ব”। পার্থ আরও বলেন, “আমি যেমন লোকসভায় কখনও প্রার্থী হইনি, তেমন অর্জুনও কখনও মন্ত্রী হননি। কে বলতে পারে উনি মন্ত্রী হয়ে যাবেন না!”