JEE Mains 2025
জয়েন্টে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন অর্চিস্মান ও দেবদত্তা, ১০০ শতাংশ পেলেন দু'জনে
এই বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেনস) পরীক্ষায় রাজ্যকে গর্বিত করলেন খড়্গপুর ও কাটোয়ার দুই কৃতি—অর্চিস্মান নন্দী ও দেবদত্তা মাঝি।
শেষ আপডেট: 20 April 2025 15:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এই বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেনস) পরীক্ষায় রাজ্যকে গর্বিত করলেন খড়্গপুর ও কাটোয়ার দুই কৃতি—অর্চিস্মান নন্দী ও দেবদত্তা মাঝি। সর্বভারতীয় স্তরে জাতীয় পরীক্ষামানক সংস্থার (NTA) প্রকাশিত তালিকায় ১০০ পার্সেন্টেজ পাওয়া ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন এই দুই পড়ুয়া।
খড়্গপুরের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বারবেটিয়ার বাসিন্দা অর্চিস্মান নন্দী পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে জয়েন্টে শীর্ষস্থান দখল করেছেন। বাবা মিঠুন নন্দী একটি ওষুধ সংস্থার আধিকারিক এবং মা অনিন্দিতা নন্দী বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। জানুয়ারি মাসে প্রথম দফার পরীক্ষার আগে অঙ্কুরহাটির কাছে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। সেই মানসিক অবস্থাতেও প্রথম দফায় প্রায় ৯৮ শতাংশ নম্বর অর্জন করেন অর্চিস্মান। পরে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর তুলে রাজ্যসেরা হন। অর্চিস্মানের আগে থেকেই দুর্দান্ত একাডেমিক রেকর্ড। ICSE পরীক্ষায় ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে পঞ্চম হয়েছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে আইআইটি খড়্গপুরে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা অর্চিস্মানের।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি জয়েন্টে অর্চিস্মানের সঙ্গে যুগ্মভাবে রাজ্যশীর্ষে। দুর্গাদাসী চৌধুরাণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবদত্তা প্রথম শ্রেণি থেকেই পড়াশোনায় প্রথম হয়ে এসেছে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত মাজি কলেজের অধ্যাপক এবং মা সেলী মাজি কাটোয়ারই এক উচ্চ বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। বিজ্ঞানমনস্ক দেবদত্তা জানান, জয়েন্ট পরীক্ষাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল। ভবিষ্যতে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চান তিনি। পড়াশোনার ফাঁকে দিনে ১০–১২ ঘণ্টা সময় দেন প্রস্তুতির জন্য। চলতি বছর জয়েন্টের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৯,৯২,৩৫০ জন। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন মাত্র দুজন—অর্চিস্মান ও দেবদত্তা। দুই পড়ুয়ার এই যুগ্ম সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে দেবদত্তা মাঝি ও অর্চিস্মান নন্দীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ২০২৫-এর JEE Mains-এ তাঁরা ১০০ শতাংশ পেয়ে দেশজুড়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তাঁরা প্রথম সারিতে ছিলেন। দেবদত্তা পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছাত্রী এবং বিদ্যাসাগর সায়েন্স অলিম্পিয়াডে শীর্ষস্থানাধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সাফল্যে রাজ্যের শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করেছে।