শেষ আপডেট: 15th February 2025 18:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। স্যালাইন কাণ্ডের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই আবারও বিরাট অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।
শুভেন্দুর কথায়, ''এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।'' এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে উত্তর চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর মূল প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না।
Another Medicine Scam Alert !!!
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) February 15, 2025
The Central Medical Stores; under the Directorate of Medical Services; Govt of WB have issued a Notice to the MSVPs of Medical College & Hospitals and Chief Medical Officer of the Districts, informing them that Pharma Impex Laboratories Private… pic.twitter.com/XEyXA5FY9Q
রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি হাসপাতালে আরএমও ছিলেন না। সিনিয়র ডাক্তাররাও ছিলেন না। একসঙ্গে পাঁচজন প্রসূতি ভর্তি হয়েছিলেন। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল বলেছে, স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে সিআইডি এখন তদন্ত করে দেখছে, কীভাবে মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছিল।