শেষ আপডেট: 20th November 2021 18:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজধানী দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় ভারতের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহী বিবৃতি (seditious statements) দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ল কঙ্গনা রানাউতের ( Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পদ্মশ্রী খেতাব পাওয়া নামী বলিউড অভিনেত্রী একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিশেষ করে ১৯৪৭ এ ভারতের পাওয়া স্বাধীনতা ভিক্ষে, আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে, এহেন মন্তব্য করে গোটা স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বের ইতিহাস ধরেই টান মেরেছেন নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমর্থক ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ‘ক্যুইন’। এমনকী মহাত্মা গাঁধীর অহিংসার মন্ত্রকেও কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এক গালে চড় খেয়ে আরেক গাল বাড়িয়ে দিলে স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষেই মেলে! সেই তাঁর বিরুদ্ধেই নালিশ ( complaint) ঠুকেছে কংগ্রেসের যুব সংগঠন (youth congress)। ভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক আইনজীবী অমরিশ রঞ্জন পান্ডে, সংগঠনের আইনি শাখার জাতীয় কো অর্ডিনেটর আইনজীবী অম্বুজ দীক্ষিতের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার যখন তিনটি কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করেন, তখন কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভারতকে ‘জেহাদি রাষ্ট্র’ বলেন, ‘খোলাখুলি ভারতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা’র ডাক দেন। কঙ্গনা নামী অভিনেত্রী, ইনস্টগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। সুতরাং, তাঁর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্টের ফলে ভারত প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে বিরাগ, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়াতে পারে। কংগ্রেস যুব নেতাদের বক্তব্য, আমরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কিন্তু তা একটা যুক্তিগ্রাহ্য সীমার পর মেনে নেওয়া যায় না। সরকার বা কোনও জনপ্রতিনিধির সমালোচনা ভারতের যে কোনও নাগরিক করতে পারেন, কিন্তু দেশের প্রতি বিতৃষ্ণা ছড়ানো বা দুষ্কর্মে উসকানি দেওয়া মন্তব্য করার অনুমতি নেই। কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ৫০৪, ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন যুব কংগ্রেস পদাধিকারীরা।