শেষ আপডেট: 25th July 2023 13:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল! আগে বলেছিলেন, তিনি 'সীমা' নন। জানিয়েছিলেন, ‘আমি এখানে ঘুরতে ও বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছি মাত্র। আর কোনও ব্যাপার নেই। আমার সঙ্গে সীমার যে তুলনা করা হচ্ছে, তা খুবই ভুল। আমি দু’চারদিনের মধ্যেই ফিরে যাব।’ কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে 'ফেসবুক বন্ধু'র সঙ্গে বিয়ে সারলেন অঞ্জু (Anju marries Pakistani friend)। তার আগে ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করলেন (converts to Islam।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারকের সামনে আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন ভারতের ৩৪ বছরের তরুণী অঞ্জু এবং তাঁর পাকিস্তানি প্রেমিক তথা ফেসবুক বন্ধু নসরুল্লা (Anju Nasrullah)।
আপার দির জেলার মোহাররর সিটি থানার সিনিয়র অফিসার মুহাম্মদ ওয়াহাব জানিয়েছেন, "নাসরুল্লাহ এবং অঞ্জুর বিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে যথাযথভাবে নিকাহ হয়েছে।" পুলিশ জানিয়েছে, নসরুল্লাহর পরিবারের সদস্য, পুলিশ কর্মী ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে দুজনেই দির বালার জেলা আদালতে হাজির হন। মালাকান্দ বিভাগের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল নাসির মেহমুদ সাট্টি জানিয়েছেন, বিয়ে বেঙ ধর্মান্তরিত হওয়ার পর অঞ্জুর নতুন নাম হয়েছে ফতিমা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে অঞ্জুকে পুলিশি নিরাপত্তায় আদালত থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার, নসরুল্লাহ এবং অঞ্জু দুজনেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তারা দির এবং চিত্রাল জেলার সংযোগকারী লাওয়ারি টানেল দেখতে গিয়েছিলেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে পরস্পরের হাতে হাত রেখে ঘুরে দেখা দিয়েছিল যুগলকে। সেখান থেকেই রাজস্থানের বধূ, ২ সন্তানের মা অঞ্জু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানে নিরাপদেই রয়েছেন।
তাঁর কথায়, ‘আমি কাউকেই কিছু জানিয়ে আসিনি। আমি আমার স্বামীকে বলেছিলাম আমি জয়পুরে যাচ্ছি ঘুরতে।’ সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা সীমার মতো বেআইনিভাবে পাকিস্তানে যাননি অঞ্জু। তিনি বলেন, ‘সমস্ত নিয়ম মেনেই পাকিস্তানে এসেছি। এখানে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই এসেছি আর ঘোরার জন্য।’
কীভাবে রাজস্থানের ভিওয়াড়ি জেলা থেকে পাকিস্তানে পৌঁছে গেলেন অঞ্জু? তাঁর কথায়, ‘প্রথমেই গ্রাম থেকে আমি দিল্লি আসি। তারপর সেখান থেকে অমৃতসর। তারপর ওয়াঘা বর্ডার পেরিয়ে ঢুকে পড়ি পাকিস্তানে।’
পাকিস্তানে এক বন্ধুর বাড়িতেই থাকছেন বলে জানিয়েছিলেন অঞ্জু। দু’বছর আগে সেই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই বন্ধুর বাড়িতেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেছেন বলে দাবি করেছিলেন অঞ্জু। নসরুল্লাহর সঙ্গে বিয়ের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এমন কোনও ব্যাপার নয়। আমি সীমা হায়দার নই।’
কিন্তু স্বামীকে না জানিয়ে যাওয়ার কারণ কী ছিল অঞ্জুর? সেই প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় বধূ বলেন, ‘আমরা স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রথম থেকেই ভাল ছিল না। কিছু পরিস্থিতির কারণেই একসঙ্গে থাকছি মাত্র আমরা। আমি আমার সঙ্গে আমার ভাই ও বৌদিকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’ তবে ভারতে ফিরে আর স্বামীর সংসারে উঠবেন না অঞ্জু। সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন তিনি।
কিন্তু সেই দাবি মতো ভারতে আর ফিরলেন না অঞ্জু। রয়ে গেলেন প্রেমিক, থুড়ি, স্বামীর কাছে, পাকিস্তানেই।
'গা-ছাড়া মনোভাব দেখলে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব', সিবিআইকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের