প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 26th October 2024 18:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: থ্রেট কালচারের অভিযোগ এনেছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে 'টেরর কালচার' চালানোর বড় অভিযোগ আনলেন আরজি করের একাংশ জুনিয়র চিকিৎসক।
'বিচার পেতে'
একই সঙ্গে বিচারের নামে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জিও জানালেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে
শ্রীশের আরও অভিযোগ, "জোর করে মিথ্যেকে সত্যি করা হল। চাপ দিয়ে নিজেদের মতো এনকোয়ারি কমিটি তৈরি করে আমাদের ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করা হল। আমাদের ওপর দিয়ে কী গেছে বলে বোঝাতে পারব না। আমাদের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল।"
বস্তুত,
কলেজের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আদালতে যান তাঁরা। হাইকোর্টের তরফে ওই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। শ্রীশ বলেন, "তারপরও অনিকেত মাহাতোরা আমাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমাদের নামে বলা হয়, নটোরিয়াস ক্রিমিনাল! আর যারা নির্যাতিতা দিদির বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে। ওরা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়?"
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই। তাঁর কথায়, "অনিকেত মাহাতোরা তো আমাদের ওপর টেরর কালচার শুরু করেছে। আপনারা কী জানেন, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সই করার জন্য রিয়া বেরা নামে এক চিকিৎসকের অ্যাকাউন্টে ২৮ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক।"
কে এই রিয়া বেরা? আরজি করের অপর জুনিয়র চিকিৎসক সৌরভ দাসের অভিযোগ, "রিয়া বেরার বিরুদ্ধেও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ রয়েছে। অথচ সেও কি না
তাঁর অভিযোগ, "মূল ইস্যু থেকে সরে অনিকেত, দেবাশিসরা আন্দোলনকে বেলাইন করছে। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আমরাই থ্রেট কালচারের শিকার হয়ে গেলাম। সে কারণেই বাধ্য হয়ে আমরা নতুন সংগঠন তৈরি করে মানুষের কাছে সবটা জানাতে সামনে এলাম।"
আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিনই গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছে