দ্য ওয়াল ব্যুরো : আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে এবার প্রশ্নোত্তর পর্ব বাদ দেওয়া হবে। তাতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা।
এবার লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বসবে ভিন্ন সময়ে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাংসদদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভা বসবে সকাল ন'টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিন থেকে ১ অক্টোবর অবধি বসবে দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। রাজ্যসভার অধিবেশন প্রথম দিন বসবে দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। বাকি দিনগুলিতে বসবে সকাল ন'টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। সপ্তাহ শেষের দিনগুলিতেও অধিবেশন চালু থাকবে।
অধিবেশনে কোনও প্রাইভেট আওয়ার বিজনেস থাকবে না। ওই সময় সাংসদরা বিল পেশ করেন। জিরো আওয়ারে সাংসদরা জনস্বার্থে নানা বিষয় তুলতে পারবেন। কিন্তু তার মেয়াদ হবে মাত্র ৩০ মিনিট। অধিবেশনের প্রথমে সাংসদদের প্রশ্ন করার জন্য একঘণ্টা দেওয়া হয়। ওই সময়কে বলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেই পর্বটি এবার বাদ দেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ওব্রায়েন বুধবার সকালে টুইট করে বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে।
সাংসদের পোস্টে বলা হয়েছে, "কোনও এমপি যদি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে ১৫ দিন আগে থেকে সেই প্রশ্ন সংসদে জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছে।" ডেরেক ওব্রায়েনের অভিযোগ, বিরোধীরা সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার হারাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের পরে এমনটা আর কখনও হয়নি। সংসদের কাজের সময় তো একই আছে। তাহলে কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল। সাংসদ মনে করেন, অতিমহামারীকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর মন্তব্য করেন, সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকারই সংসদীয় গণতন্ত্রকে অক্সিজেন যোগায়। তাঁর কথায়, "আমি চার মাস আগেই বলেছিলাম, স্ট্রংম্যান নেতারা অতিমহামারীকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র ও বিক্ষোভকে ধ্বংস করতে চাইবে। এবার বাদল অধিবেশন বসছে দেরিতে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল। আমাদের নিরাপদ রাখার নাম করে এই কাজ করা হয়েছে।"
শুক্রবারই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।