শেষ আপডেট: 20th April 2020 15:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনেকেই যখন খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন, তখন কেন্দ্রের সরকার সোমবার জানাল, সরকারি গুদামে থাকা উদ্বৃত্ত চাল দিয়ে ইথানল তৈরি হবে বলে। ওই ইথানল হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তা ছাড়া বায়ো ফুয়েল তথা জৈব জ্বালানি হিসাবে পেট্রলের সঙ্গে মেশানো হবে। দেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের জোগান আরও বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সাধারণ বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, কেন্দ্রের এই নির্দেশ বিতর্ক তৈরি করতে পারে। কারণ লকডাউনের কারণে দেশের নানা প্রান্তের দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবারের সংকট শুরু হওয়ার খবর এসেছে। কয়েক লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক এই খাদ্য সংস্থানের জন্যই অন্য রাজ্য থেকে নিজেক রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন পায়ে হেঁটে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ নিয়ে বেড়েছে ক্ষোভের আঁচ। একশ্রেণির তরফে অভিযোগ উঠেছে, দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে যেখানে অনেকে খেতে পাচ্ছেন না সেখানে ফুড কর্পোরেশনের গুদামঘর নাকি চালে ভর্তি রয়েছে। সরকার অবশ্য জানিয়েছে, ২০১৮-র জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত জাতীয় নীতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এর পরেই পেট্রোল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে যে অতিরিক্ত চাল পাওয়া যাবে তা থেকে ইথানল তৈরি করে পেট্রোলে মিশিয়ে অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজ়ার তৈরি করা হবে। জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত ওই নীতিতে বলা হয়েছে, যদি কোনও বছর কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়, তাহলে এই নীতি অনুসারে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য থেকে ইথানল তৈরি করায় অনুমতি দেওয়া যাবে। প্রশ্ন উঠেছে, খাদ্য কি সত্যিই অতিরিক্ত রয়েছে? লকডাউন শুরুর সময়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দরিদ্রদের অতিরিক্ত খাদ্যের প্রতিশ্রুতি দেন। যাঁদের রেশন কার্ড আছে তাঁদের ৫ কেজি করে গম বা চাল দেওয়া হবে বলে জানান তাঁদের। সকলে কি সেই রেশন পাচ্ছেন এবং পাওয়ার পরেও চাল উদ্বৃত্ত হচ্ছে কেন্দ্রের ভাণ্ডারে? এই প্রশ্নই উঠেছে কেন্দ্রের স্যানিটাইজ়ার তৈরির সিদ্ধান্তের পরে।