দ্য ওয়াল ব্যুরো : করোনাভাইরাস রুখতে দেশ জোড়া লকডাউনের মধ্যে নানা মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সরকার না ভেবেচিন্তেই এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে বিপদে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শনিবার তার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার যা পদক্ষেপ নিয়েছে, তা পূর্ব পরিকল্পিত। যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এদিন বিবৃতি দিয়ে বলে, গত ৩০ জানুয়ারি হু করোনাভাইরাসকে পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করে। তার আগেই সরকার রোগ মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েছিল।
ভারতে যখন দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, তখন আশার কথা শুনিয়েছেন হু-র কর্তা মাইকেল জে রায়ান। তাঁর মতে, মহামারী মোকাবিলার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আছে ভারতের। অতীতে স্মল পক্স ও পোলিও মহামারী মোকাবিলা করেছে ভারত। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখবে।
একইসঙ্গে রায়ান বলেছেন, “ভারতে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভারত খুবই জনবহুল দেশ। ওই দেশ এর আগে দু’টি মহামারীর মোকাবিলা করেছে। সুতরাং এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা ভারতের আছে।” একইসঙ্গে রায়ান বলেন, ভারতে রোগ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ কবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া খুব শক্ত। ভারতের মতো দেশ অতীতে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে, আগামী দিনেও দেখাবে বলে আশা করা যায়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়ায় একদিকে যেমন আশঙ্কা, অন্যদিকে তেমনই এই সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যায় আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করতে পারলেই এই ভাইরাসের হাত থকে রক্ষা পাওয়া যায়। চিন সেটা করে দেখিয়েছে। সেই পথেই এগোচ্ছে ইতালি, আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ।
এর মধ্যে জানা যায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতকে ২২ কোটি টাকা দিতে চলেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে যে ২২ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে, তা দিয়ে করোনা মোকাবিলায় ল্যাবরেটরি, এই ভাইরাস সংক্রান্ত নজরদারির ব্যবস্থা আরও ভাল করে করা সম্ভব হবে।