শেষ আপডেট: 5th December 2023 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা ফিরেছে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের তরফে বিশেষ বেঞ্চও গঠন করা হয়েছে। ফলে আগামী বছর থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এদিকে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে পুলিশের দায়ের করা মামলা। মঙ্গলবার এ বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
মামলাকারীদের আইনজীবী অর্ক চৌধুরী বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোথাও কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করলেই মামলা দিচ্ছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। একেক জন চাকরিপ্রার্থীর নামে মামলার পাহাড়! পুলিশ কেসের জেরে শেষে না ওদের চাকরি আটকে যায়। তাই পুলিশের দায়ের করা ওই সব মিথ্যে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানানো হয়েছে।”
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে ওঠে মামলাটি। মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি জানতে চান, “নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করে চাকরিপ্রার্থীরা কী বেআইনি কাজ করছে? তারা তো আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রতিবাদ ধর্নায় বসেছে।”
সূত্রের খবর, করোনা সময়কালের একাধিক মামলাও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোভিড প্রটোকল ভঙ্গ করা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “চার্জশিট তৈরি আছে। কিছু মামলায় চার্জ ফ্রেম এর সময় এসে গেছে। তদন্ত চলছে। এখন আর এফআইআর বাতিল করা যাবে না।
এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা সব মামলার কেস ডায়েরি তলব করেন বিচারপতি। আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। সরকারি আইনজীবীর এই যুক্তি খুবই দুর্বল। এফআইআর বাতিলের আবেদনের এটাই সঠিক সময়। আপনি তৈরি হয়ে আসুন। আপনার যুক্তি মানা যাচ্ছে না।”
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। সূত্রের খবর, চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ওই দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বিচারপতি।