সস্ত্রীক মৃত সোমনাথ রায়।
শেষ আপডেট: 4th March 2025 22:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালে কসবার ( Kasba Suicide case) রথতলার পূর্বপল্লীর একটি বাড়ি থেকে সন্তান-সহ এক দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দুপুরেই মৃত যুবকের মামা ও মামিকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হল।
ধৃত প্রদীপকুমার ঘোষাল এবং নীলিমা ঘোষালকে আগামীকাল বুধবার আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। প্রদীপবাবু কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মী। মৃত সোমনাথ রায়ের শ্বশুর ও শ্যালিকার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে। যার ভিত্তিতে সম্পত্তি বিবাদের বিষয়টি সামনে আসে।
সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সম্পত্তি বিবাদের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নিজের মামা ও মামির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছে সোমনাথ।
পরে সোমনাথের মামার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রর অভিযোগ আনেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিকও তাঁর মেয়ে, জামাই ও নাতিকে খুনের অভিযোগ এনেছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করেননি। সুইসাইড নোটেও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ এবং মামা-মামির নাম উল্লেখ করে গিয়েছিল সোমনাথ। তারই ভিত্তিতে রাতে মামা, মামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন দুপুরে সোমনাথের মামা ও মামির সঙ্গে তার এক মাসিকেও আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যও। পেশায় অটোচালক সোমনাথের প্রতিবেশী এবং কয়েকজন অটো চালকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমনাথের আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল জন্ম থেকেই কঠিন অসুখে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য কিছুদিন আগে নিজের একটি অটোও বিক্রি করে দিয়েছিলেন সোমনাথ। ফলে শুধুই মামার সঙ্গে সম্পত্তি গত বিবাদ নাকি সন্তান সুস্থ হবে না বুঝতে পেরেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত, তদন্তে এই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।