শেষ আপডেট: 30th September 2020 07:01
BREAKING# বাবরি ধ্বংসের মামলায় লালকৃষ্ণ আডবানী সহ সব অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করল বিশেষ আদালত
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ঠিক ২৮ বছর আগে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙা পড়েছিল বাবরি মসজিদ। বুধবার দুপুরে সেই মামলায় রায় দিল লখনউয়ের সিবিআই কোর্ট। তাতে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং সহ প্রত্যেক অভিযুক্তকেই নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৩২। ৯২ বছরের আডবাণী ও ৮৬ বছরের যোশী বয়সের কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী। কল্যাণ সিংও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। প্রায় তিন দশক ধরে খুব ধীর গতিতে চলেছে বিচারের প্রক্রিয়া। লখনউয়ের ওল্ড কোর্ট হাউস বিল্ডিং-এর এক কোণে ১৮ নম্বর কোর্টরুমে এই মামলার বিচার হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রোজ ওই মামলার শুনানি করতে হবে। শুনানি চলাকালীন বিচারককে বদলি করা চলবে না। করসেবকরা বিশ্বাস করত, যেখানে বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়েছিল, সেখানেই জন্ম হয়েছিল রামচন্দ্রের। তাই তারা মসজিদটি ভেঙে ফেলে। তারপরে দেশ জুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়। সরকারি হিসাবমতো দাঙ্গায় ১৮০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। অযোধ্যার জমি নিয়ে যে মামলা চলছিল, তা এই বাবরি ভাঙার মামলার থেকে আলাদা। জমির মামলায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। গত ৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাবরি মসজিদ ভাঙা পড়ার পরে পুলিশ দু'টি এফআইআর করে। প্রথমটি করা হয় কয়েক লক্ষ করসেবকের বিরুদ্ধে। তাঁরা ৬ ডিসেম্বর মসজিদের ওপরে উঠে হাতুড়ি ও কুড়ুল দিয়ে সৌধটি ভেঙে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় এফআইআরটি হয় আটজনের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন বিজেপির আডবাণী, যোশি, উমা ভারতী এবং বিনয় কাটিহার এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া এবং সাধ্বী ঋতাম্ভরা। তাঁদের মধ্যে বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, গিরিরাজ কিশোর ও অশোক সিঙ্ঘল মারা গিয়েছেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ। তাঁদের মৌখিক সাক্ষ্য এই মামলায় বড় ভূমিকা পালন করেছে। সিবিআই মোট ১০২৬ জন সাক্ষীর তালিকা প্রস্তুত করেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক ও পুলিশকর্মীরা।