শেষ আপডেট: 23rd August 2021 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ বিক্রির পথে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী চার বছরে সড়কপথ, রেলের নানা সম্পত্তি, বিমান বন্দর, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্যাসের লাইন বিক্রি করা হবে। তার ফলে সরকার পাবে ৮১০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে তার পরিমাণ ৬ হাজার কোটি। কীভাবে ওই সম্পদ বিক্রি করা হবে, তা পরে জানাবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিলগ্নিকরণ নীতি অনুযায়ী সরকার অর্থনীতির নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্র নিজের হাতে রাখবে। বাকি সবই বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হবে। করোনা অতিমহামারীর জন্য দেশে যে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণ করা হবে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে। সেই নীতি অনুযায়ী ইতিমধ্যে লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বাজারে ছাড়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন এবং এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। পরে নির্মলা সীতারমন মোট ১১ টি মন্ত্রকের সম্পদ বিলগ্নিকরণের কথা ঘোষণা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। সড়কপথ বিক্রি করে সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। রেলের সম্পদ বেচে পাওয়া যাবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনের বিলগ্নিকরণ করে পাওয়া যাবে ১০ হাজার কোটি টাকা। সরকারি গুদাম, অসামরিক বিমান চলাচল, বন্দরের পরিকাঠামো, স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং খনির যন্ত্রপাতি বিক্রি করে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে। খোলা বাজার অর্থনীতির যুগে রাজকোষে অর্থের আমদানি জন্য এতদিন দু'টি পথ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমত যে সরকারি সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষতিতে চলছে, সেগুলি বেসরকারি উদ্যোগপতিদের কাছে বেচে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে তহবিল সংগ্রহের জন্য তৃতীয় একটি পথের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই পথের নাম 'ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন'। ওই প্রকল্প অনুযায়ী এবার সরকারি পরিকাঠামো বিক্রি করা হবে। এর ফলে বাজেট ঘাটতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১ এপ্রিল শুরু হওয়া আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬.৮ শতাংশ হতে পারে। গত আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি হয়েছিল ৯.৩ শতাংশ। অনেক অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা করছেন, কোভিড অতিমহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য চলতি আর্থিক বছরে বাজেট ঘাটতি ৬.৮ শতাংশে বেঁধে রাখা না-ও সম্ভব হতে পারে।