শেষ আপডেট: 29th November 2022 06:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চার ও তিন বছরের দুই শিশু সন্তানকে রেখে চলে গিয়েছিল স্ত্রী। উল্টে ডিভোর্সের (Divorce) জন্য মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত এই প্রবল মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নাবালক দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন বিনোদজি ঠাকোর (Drowns Son's and Himself In Canal)। গুজরাতের আমদাবাদের (Ahmedabad) ঘটনা।
আমদাবাদের পার্ধোল গ্রামে বাড়ি বিনোদজি ঠাকোরের। গত ২১ নভেম্বর দুপুরে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে ওই তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়।
গুজরাত পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনোদজি ঠাকোরের ৪ বছর বয়সী বড় ছেলের নাম ঋষভ ও ৩ বছরে ছোট্ট ছেলেটার নাম আরভ। ২১ নভেম্বর ওই ব্যক্তি দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে নর্মদা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরেরদিন, অর্থাৎ ২২ নভেম্বর বাভলু থানা এলাকায় নদী থেকে আরভের দেহ উদ্ধার হয়। ২৩ নভেম্বর খুঁজে পাওয়া যায় বিনোদজি ও ঋষভের দেহ।
এই ঘটনায় বিনোদজির বাবা মানুজি ঠাকোর ছেলের স্ত্রী কোমল ঠাকোর, শাশুড়ি কেশি ঠাকোর ও মধ্যস্থতাকারী গুগাজি ঠাকোর এই তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় (Suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, চলতি বছরের মার্চ মাসে স্বামী ও সন্তানদের ফেলে কোমল গান্ধীনগরে বাপেরবাড়ি চলে যান। এরপর গুগাজি ঠাকোর নামে এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা চান বলে জানিয়েছেন মৃত বিনোদজির বাবা। নাহলে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এদিকে বিনোদজি ও মানুজি ঠিকে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। তাঁদের কোনও স্থায়ী উপার্জন নেই। এই অবস্থায় খোরপোশের বিপুল টাকা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই নাতিদের নিয়ে ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে মানুজির অভিযোগ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কিশোরীকে গণধর্ষণ চার নাবালকের, প্রধান শিক্ষকের কাছে সাহায্য চাইলে ফের ধর্ষণ করলেন তিনি