শেষ আপডেট: 7th February 2025 18:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: কল্যাণীর রথতলায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুই বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও বঙ্কিম ঘোষ। বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকাবাবু ও চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিমবাবু। তাতেই তেতে ওঠে এলাকা। রীতিমতো গো-ব্যাক ধ্বনি দিয়ে তাঁদের ঘটনাস্থল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। দুজনেরই অভিযোগ, ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে চলছে বাজি কারখানা সেই প্রশ্ন তোলাতেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের রোষের মুখে পড়েন তাঁরা।
শুক্রবার দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় চার মহিলার। নিহতদের নাম বাসন্তী চৌধুরী (৬০) এবং অঞ্জলি বিশ্বাস (৬১), রুমা সোনার (৩৫) এবং দুর্গা সাহা (৪০)। প্রত্যেকেই এই অঞ্চলের বাসিন্দা এবং এই কারখানার শ্রমিক। উজ্জ্বলা ভুঁইয়া নামে আরও এক শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
একেবারে সরু গলির ভিতরে ওই বাজি কারখানায় এমন বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকায় তুমুল আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কীভাবে সকলের চোখের নজর এড়িয়ে এমন ঘিঞ্জি এলাকায় বাজি কারখানা তৈরি হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই ডামাডোলের মধ্যেই কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পদ্ম বিধায়কদের নিরাপদে ওই এলাকা থেকে বের করে আনে।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক অম্বিকা রায়। তাঁর অভিযোগ, "দমকল ঢোকার রাস্তা নেই, এমনই এলাকায় এতদিন ধরে বাজি কারখানা চলছে, অথচ পুলিশ প্রশাসন জানে না এটা কী করে সম্ভব? এখানকার তিনবারের কাউন্সিলরও জানেন না এখানে বাজি কারখানা চলছে।" তারপরেই ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, এমন দুঃসময়ে রাজনীতি করতে এসেছেন বিধায়ক। শুরু হয় দু-তরফের কথা কাটাকাটি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।