দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরায় রবিবার গ্রেফতার, পরে জামিনে মুক্তি পাওয়া দুই সাংবাদিককে (journalists) একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্টের (agent) তকমা দিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরি(minister)। সংখ্যালঘুদের (minorities) ওপর হিংসার (violence) অভিযোগ সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তে আসা দুই সাংবাদিকের রাজনৈতিক অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও কোন দলের এজেন্ট তাঁরা, তা জানাননি বিপ্লব দেব সরকারের মন্ত্রী। তবে রাজ্যে কিছুদিন ধরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত চরমে। এই প্রেক্ষাপটে ঘুরিয়ে তিনি কি তাঁদের তৃণমূলের সঙ্গে জড়ালেন?
আগরতলায় সচিবালয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে রাজ্যে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করতেই একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হয়ে এসেছিলেন ওঁরা। জাল ফুটেজ ছড়িয়ে উসকানি দিতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলেন।
রবিবার সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণ ঝা নামে দুই মহিলা সাংবাদিককে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার স্থানীয় আদালতে তাঁরা জামিন পান।
মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর সাম্প্রতিক অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী দাবি করেন, সাকুনিয়া ভুয়ো ছবি, ফুটেজ ছড়ান, যার জেরে অমরাবতীতে অশান্তি হয়েছে। এটা একজন সাংবাদিককে মানায় না। ওঁরা শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকজনকে উসকানি দিয়েছেন। একটি বিশেষ ধর্মকে একজোট করাই ওঁদের উদ্দেশ্য ছিল। সেজন্যই ওঁদের অভিযুক্ত করা হয়। যেহেতু এর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যাপার আছে, তাই পুলিশ জানতে চেয়েছে, কোথা থেকে কী উদ্দেশ্যে ওঁরা এসেছিলেন। কাকরাবান থানায় দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁরা সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। বলেন, ওঁরা পুলিশকে বলেন, আগরতলা থেকে নয়াদিল্লির বিমান ধরবেন। কিন্তু কিছু না জানিয়েই চলে যান অসমের নিলামবাজারে। সত্যিই সাংবাদিক হলে পালাতে যাবেন কেন?
সুশান্তবাবুর চাঞ্চল্যকর দাবি, আজকাল লোকজন সেলসম্যান পরিচয় দিয়ে লোকজনের বাড়ি ঢুকে বিজেপি ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে।এধরনের গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলছি।